গর্ভাবস্থার আগে এই গুরুত্বপূর্ণ রক্ত পরীক্ষাগুলি করানো দরকার
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১৮ সেপ্টেম্বর :মা হওয়া প্রতিটি মহিলার জন্যই আলাদা অনুভূতি। শুধুমাত্র গর্ভাবস্থার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ নয়, একটি শিশুর পরিকল্পনা করার আগে কিছু দিক বিবেচনা করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুস্থ এবং সুখী গর্ভাবস্থার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, যদি একজন মহিলা সন্তানের পরিকল্পনা করেন, তাহলে গর্ভধারণের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রক্ত পরীক্ষা করা উচিৎ।
যদি গর্ভধারণের আগে কিছু রক্ত পরীক্ষা করা হয়, তাহলে গর্ভাবস্থায় হতে পারে এমন সম্ভাব্য সমস্যাগুলি সনাক্ত করা যেতে পারে এবং সময়মতো চিকিৎসা করা যেতে পারে। এটি গর্ভাবস্থায় মায়ের সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিরীক্ষণে সহায়তা করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থার আগে কোন রক্ত পরীক্ষা করানো সঠিক-
সম্পূর্ণ রক্ত গণনা পরীক্ষা (CBC):
এই পরীক্ষায়, রক্তের কোষ পরিমাপ করা হয়, যেমন প্লেটলেট গণনা, লোহিত রক্তকণিকা (RBC), শ্বেত রক্তকণিকা (WBC)। এই পরীক্ষা করিয়ে গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতার ঝুঁকি এড়ানো যায়।
রক্তের গ্লুকোজ স্তর পরীক্ষা:
এই পরীক্ষায় রক্তে গ্লুকোজ অর্থাৎ চিনির পরিমাণ পরীক্ষা করা হয়। যাতে ডায়াবেটিসের কারণে গর্ভাবস্থায় কোনো জটিলতা না হয়। অনেক সময় একটি শিশু ডায়াবেটিস নিয়ে জন্মায়। তবে এটি খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
হেপাটাইটিস বি এবং সি পরীক্ষা:
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে হেপাটাইটিস বি এবং সি-এর পরীক্ষা করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটি ছাড়াও, সন্তানের পরিকল্পনা করার আগে একবার এই পরীক্ষা করা উচিৎ। কারণ এই রোগগুলি মা থেকে সন্তানের মধ্যে যেতে পারে।
থাইরয়েড ফাংশন পরীক্ষা:
একটি সুস্থ ও নিরাপদ গর্ভাবস্থার জন্য, আগে থেকেই থাইরয়েড পরীক্ষা করানো জরুরি। থাইরয়েড সমস্যা গর্ভাবস্থায় ওজন হ্রাস, বমি বমি ভাব, ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
যৌনবাহিত সংক্রমণ:
এই পরীক্ষায় এইচআইভি এবং সিফিলিস রোগ সনাক্ত করা হয়। যাতে এই সংক্রমণ মা থেকে শিশুতে ছড়ানো থেকে রোধ করা যায়।
No comments:
Post a Comment