ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণা যা বলছে
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১৮ সেপ্টেম্বর: ব্যস্ত জীবনযাপন এবং কাজের কারণে বেশিরভাগ মানুষ তাদের ঘুম সম্পূর্ণ করতে পারে না। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব আমাদের স্বাস্থ্যের উপর দৃশ্যমান। আজকাল আধুনিক জীবনধারার নামেও মানুষ গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস অনুসরণ করছে। কিন্তু এই আধুনিক অভ্যাস রোগের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
সম্প্রতি, বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে গবেষণা করেছেন, যেখানে জানা গেছে যে যারা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। গবেষকদের মতে, যারা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন তাদের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যান্য মানুষের তুলনায় বেশি থাকে। অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় যা বেরিয়ে এসেছে:
হার্ভার্ড মেডিসিন স্কুলের গবেষকরা ৬০ হাজার মহিলা নার্সের ওপর গবেষণা করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে রাতে কাজ করা নার্সরা কম ব্যায়াম করতে সক্ষম এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছে। এটি তার জীবনযাত্রায় গভীর প্রভাব ফেলেছিল। গবেষকরা বলছেন, গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে জেগে কাজ করেন তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি দিনের বেলা কাজ করা মানুষের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি।
ঘুমের চক্র ব্যাহত হয়:
গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন এবং দিনে ঘুমান, তাদের ঘুমের চক্রে ব্যাঘাত ঘটে। এর ফলে শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়ার অবনতি ঘটে। এর ফলে শরীরে চর্বি জমতে থাকে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক রোগ হয়। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে যারা দেরি করে রাতে জেগে থাকেন এবং যারা ভোরে ঘুম থেকে উঠেন তাদের ফ্যাট মেটাবলিজমের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস :
দুধরনের ডায়াবেটিস আছে - টাইপ ১ এবং টাইপ ২'ডায়াবেটিস। টাইপ ১ ডায়াবেটিস বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে জেনেটিক্সের কারণে ঘটে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ব্যাঘাতের কারণে ঘটে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে, অগ্ন্যাশয় প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসুলিন তৈরি করতে সক্ষম হয় না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
No comments:
Post a Comment