মহাকাশে দানব ব্ল্যাক হোল, মুখ পৃথিবীর দিকে, কারণ জানতে ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ৩০ এপ্রিল : বিশাল ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে গিয়েছেন। রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই বিশাল ব্ল্যাক হোল পৃথিবীর দিকে মুখ খুলে দাঁড়িয়ে আছে। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে এটিকে গ্যালাক্সি হিসেবে বিবেচনা করে আসছিলেন। কিন্তু বাস্তবে এটি ছিল একটি ব্ল্যাক হোল। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করার সময় অবাক হন যে এর অভিমুখ পৃথিবীর দিকে কেন? এই মহাকাশের দানব দ্রুত পৃথিবীর দিকে মুখ ঘুরিয়ে রেখেছে।
আলোর গতিতে এই ব্ল্যাকহোলের মুখ থেকে ক্রমাগত রেডিয়েশন বের হচ্ছে। বিকিরণটি পৃথিবীর ৯০ ডিগ্রি কোণে রয়েছে। যার জেরে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই ব্ল্যাক হোলকে ক্ষুধার্ত ব্ল্যাক হোলকে Scientific Active Galactic Nuclei (AGN) বলা হয়। এই ব্ল্যাক হোলগুলো বেশিরভাগ সময় গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকে। তাদের মুখ থেকে উচ্চ শক্তির কণা বের হতে থাকে।
এই ব্ল্যাক হোলটি PBC J2333.9-2343 নামে একটি খুব বড় গ্যালাক্সির কেন্দ্রে রয়েছে। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪ মিলিয়ন আলোকবর্ষ। AGN সম্প্রতি পৃথিবীর দিকে ঘুরে রয়েছে। যার কারণে এর কেন্দ্র থেকে নির্গত শক্তিশালী শক্তির জেট সরাসরি পৃথিবীর দিকে নিবদ্ধ রয়েছে।
গবেষণায় যা পাওয়া গেল:
মিলেনিয়াম ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট লরেনা হার্নান্দেজ গার্সিয়া PBC J2333.9-2343 গ্যালাক্সির সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বর্ণালী অধ্যয়ন করেছেন। এটি বেতার তরঙ্গ হোক বা গামা রশ্মি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল যে এটি একটি ব্লাজার, যা খুব উজ্জ্বলভাবে জ্বলছে এবং তারপরে নিভে যাচ্ছে। তারপর গার্সিয়া মিল্কিওয়েতে দুটি বৃত্তাকার অঞ্চল দেখতে পান। এখানে AGN থেকে বেরিয়ে আসা জেটগুলো একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।
বিজ্ঞানীরা উত্তর খুঁজছেন:
তারা দেখতে পপান যে ব্লাজারের এই বৃত্তাকার অঞ্চলগুলি অনেক পুরনো, AGN খুব ছোট। এটি ক্রমাগত উচ্চ শক্তির জেট বিমান নিক্ষেপ করছে। এখানে দুই জোড়া জেট বিভিন্ন দিকে উড়ছে। কেন এটি পৃথিবীর দিকে মুখ করে রেখেছে তা বিজ্ঞানীরা এখনও বুঝতে পারেননি। এর উত্তর খোঁজার চেষ্টায় নিরন্তর ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা।
No comments:
Post a Comment