শনিবার শনিদেবের পূজার দিন। শাস্ত্রে, শনিদেবকে ন্যায়বিচারের দেবতা এবং ফলদাতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কারণ শনিদেব ভক্তদের কর্ম অনুসারে ফল দেন। বাহন সম্পর্কে কথা বললে, সমস্ত দেবদেবীর বাহন রয়েছে, যেমন মা দুর্গার বাহন সিংহ, ভগবান বিষ্ণুর গরুড়, গণেশের বাহন ইঁদুর, দেবী সরস্বতীর রাজহাঁস, শিবজীর নন্দী এবং কার্তিকেয়ের বাহন ময়ূর। তেমনি শনিদেবের বাহন হল কাক।
তবে শুধু কাক নয়, শনিদেবের আরও নয়টি বাহন রয়েছে, চলুন জেনে নেই শনিদেবের নয়টি বাহনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব-
সিংহ, শনিদেবের বাহন:
সিংহকে সাহস, বীরত্ব ও প্রজ্ঞার সূচক মনে করা হয়। তাই শনি যখন সিংহের উপর চড়েন, তখন তা শুভ বলে মনে করা হয়। এর অর্থ ব্যক্তি শত্রুদের উপর বিজয় লাভ করে।
গাধা, শনিদেবের বাহন:
গাধা কঠোর পরিশ্রমের জন্য পরিচিত। যখন শনিদেবের বাহন গাধা হয়, এর মানে হল যে কোনও লক্ষ্য বা সাফল্য অর্জনের জন্য একজন মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে শনিদেবকে গাধার পিঠে চড়া অশুভ মনে করা হয়।
ঘোড়া, শনিদেবের বাহন:
ঘোড়াকে উদ্যম, সাহস ও বিজয়ের প্রতীক মনে করা হয়। শনিদেবের জন্য কোনো ব্যক্তির কুণ্ডলীতে ঘোড়ায় চড়া শুভ ও ফলদায়ক।
হাতি শনিদেবের বাহন:
হাতি শক্তি ও প্রজ্ঞার প্রতীক। কিন্তু শনিদেবকে হাতির পিঠে চড়ে অশুভ মনে করা হয়। হাতিতে চড়ে শনিদেব দেখায় যে একজন ব্যক্তির তার প্রকৃতিতে নম্রতা আনতে হবে এবং শান্ত থাকতে হবে।
মহিষ, শনিদেবের বাহন:
শনিদেব যদি মহিষে চড়ে থাকেন, তাহলে সেই ব্যক্তি মিশ্র ফল পাবেন। কারণ মহিষ শক্তিশালী হলেও তারা ভয়ে বাস করে।
কাক, শনিদেবের বাহন:
শনিদেবের জন্য কাকের উপর চড়া অশুভ বলে মনে করা হয়। এটি বিরোধের কারণ হতে পারে। এই কারণে, গৃহস্থের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এবং একজনকে জীবনে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
শনিদেবের বাহন শেয়াল:
শনিদেবের জন্য শেয়ালে চড়াও শুভ নয়। শনিদেব যদি কোনো ব্যক্তির কুণ্ডলীতে শেয়ালে চড়ে থাকেন, তাহলে তার মানে সেই ব্যক্তিকে অন্যের ওপর নির্ভর করতে হতে পারে।
শকুন বা কুকুর, শনিদেবের বাহন:
কুকুর বা শকুনের ওপর শনিদেবের চড়াও শুভ বলে মনে করা হয় না। এর ফলে ব্যক্তিকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতে পারে। সেই সঙ্গে শারীরিক সমস্যারও সম্মুখীন হতে হতে পারে।
শনিদেবের বাহন রাজহাঁস:
রাজহাঁসকে শুভ বলে মনে করা হয়। সেই কারণেই শনিদেব রাজহাঁসের উপর চড়ে একজন ব্যক্তির জীবনে শুভ ও সৌভাগ্য বৃদ্ধির প্রতীক।
No comments:
Post a Comment