যে জোশীমঠে আজকাল প্রকৃতি তার উগ্র রূপ দেখা যাচ্ছে এবং সর্বনাশের ভয়ে মানুষ প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কিত। চলুন জেনে সেই মঠ সম্পর্কে -
বিশ্বাস করা হয় যে আচার্য শঙ্কর ১১ বছর বয়সে একবার এই জোশীমঠে এসেছিলেন এবং এখানে প্রথম জ্যোতির্মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই পবিত্র মঠটিকে গুপ্ততীর্থ বলা হয় কারণ এখানেই আচার্য শঙ্কর দু বছর ধ্যান করেছিলেন এবং ব্রহ্মজ্যোতি দেখেছিলেন।
এই পবিত্র আলোর আলোকে একবার আচার্য শঙ্কর ধর্মবাদীদের বিশ্বাস খণ্ডন করে সনাতন ঐতিহ্যের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।
মনে করা হয় যে এক সময় যখন দেশে বৌদ্ধদের আধিপত্য ছিল তখন তারা বদ্রীনাথ ধামে মন্দির ভেঙ্গে ফেলে এবং ভগবান বদ্রীনাথের মূর্তি ধ্বংস করে নারদকুন্ডে ফেলে দেয়। কিন্তু সেই সময়ে শঙ্করাচার্যজী যখন এখানে এসেছিলেন, তখন তিনি তাঁর যোগশক্তি দিয়ে সেই মূর্তিটিই খুঁজে পান। মন্দিরটি ভেঙে পুনঃনির্মাণ করার পর, আইন অনুসারে মন্দিরে মূর্তি স্থাপন করেছিলেন। এরপর তিনি ভগবান বদ্রী বিশালের মূর্তি রক্ষা ও পূজোর জন্য এই পবিত্র জ্যোতির্মঠ প্রতিষ্ঠা করেন।
ভগবান বদ্রীনাথের মন্দির সংস্কার ও তাঁর মূর্তি স্থাপনের পর আচার্য শঙ্কর তাঁর প্রিয় শিষ্য তোটকাচার্য জ্যোতির্পীঠকে প্রথম আচার্য হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং ভগবান বদ্রীনারায়ণ মন্দিরের ব্যবস্থা তাঁর হাতে তুলে দেন। সেই থেকে আজ অবধি শঙ্করাচার্যজীর আয়োজনে ভগবান বদ্রীনারায়ণের পূজো চলছে। টোটকাচার্য ছিলেন আচার্য শঙ্করের প্রিয় শিষ্য, যাকে তিনি তাঁর মনের মাধ্যমে সমস্ত শাস্ত্রের জ্ঞান দান করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment