উদ্ভিদ খাদ্য বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় শেঠি ব্যাখ্যা করেছেন যে চিয়া বীজ ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে বড় উৎস। তাই এটি হার্ট ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। চিয়া বীজের দ্রবণীয় ফাইবার পিত্তের পাশাপাশি এলডিএল কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। এলডিএল কোলেস্টেরলকে খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তনালীতে জমাট বাঁধা এবং চর্বি থেকে আঠালো পদার্থ তৈরি হওয়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিয়া বীজ শুধু কোলেস্টেরল কমায় না, হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এভাবে পুরো হার্ট সুস্থ রাখতে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে: চিয়া বীজে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার থাকে যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধার্ত ব্যথা প্রতিরোধ করে। এভাবে খাবার খাওয়ার পর এগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এই কারণে তারা প্রদাহজনক চিহ্নিতকারী হ্রাস করে ইনসুলিন প্রতিরোধের উন্নতি করে। একটি প্রদাহজনক চিহ্নিতকারী হল এক ধরনের সক্রিয় প্রোটিন যার সক্রিয়করণ ইনসুলিনের ব্যাঘাত ঘটায়।
বিপাক উন্নতি: চিয়া বীজে অনেক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা শরীরের স্নায়ুতন্ত্র এবং পেশীর কার্যকারিতা সক্রিয় করে। এর পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য একটি সুপারফুড। এটি হার্টবিট ভারসাম্য রাখে এবং হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। চিয়া বীজ শরীরে প্রোটিন এবং নিউক্লিক অ্যাসিড তৈরিতে সাহায্য করে, যা শরীরে বেশি শক্তি যোগায়। চিয়া বীজে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফেনোলিক যৌগগুলির অনেক উপকারিতা রয়েছে বলে জানা যায়। তারা ক্যান্সার কোষের আক্রমণ কমাতে পারে। এটি কোষে প্রদাহ, শোথ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও সহায়ক হতে পারে। এসবের ফলে চিয়া বীজ মেটাবলিজম ঠিক রাখে।
No comments:
Post a Comment