উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ থেকে তিন কিলোমিটারের পর মানা গ্রাম। এই গ্রাম দেশের শেষ গ্রাম। এই গ্রামের সংযোগ মহাভারত যুগের সাথেও জড়িত।
স্বর্গে যাওয়ার জন্য মানা গ্রামে পৌঁছলে পাণ্ডবরা এখানকার প্রবাহিত সরস্বতী নদী থেকে পথ চেয়েছিলেন। পথ না পেয়ে ভীম দুটি বড় পাথর তুলে নদীর উপর রেখে সেতু নির্মাণ করেন। এই সেতু দিয়ে তাঁরা নদী পেরিয়ে এগিয়ে যান।
আজও সেই স্থানে সরস্বতী নদী প্রবাহিত হয়, যা অলকানন্দায় মিশেছে। আজও নদীর উপর সেই পাথরের সেতুটি রয়ে গেছে। এই সেতুটি 'ভীমপুল' নামে পরিচিত।
দেশের শেষ দোকানও রয়েছে মানা গ্রামে। এই দোকানে বড় অক্ষরে লেখা আছে 'হিন্দুস্তানের শেষ দোকান'। এটা একটা চায়ের দোকান। এই এলাকায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা অবশ্যই এই দোকান থেকে চা পান করেন এবং এর সামনে ছবি তোলেন। এই এলাকা থেকে কিছু দূরে চীনের সীমান্ত শুরু।
এই গ্রামে প্রায় ৬০টি বাড়ি রয়েছে এবং ৪০০ জন লোক এখানে বাস করে। বেশিরভাগ বাড়িই কাঠের তৈরি। বলা হয় যে এই ঘরগুলি সহজেই ভূমিকম্পের কম্পন সহ্য করে নিতে পারে।
এসব বাড়িতে লোকজন থাকে উপরের তলায় এবং নিচে পশুপাখি থাকে। গ্রামে বাড়িতে চাল থেকে মদ তৈরি হয়। এ ছাড়া গ্রামে এমন অনেক ভেষজ আছে, যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
এসব ছাড়াও এখানে গণেশ গুহা, ব্যাস গুহাও দেখার মতো। বলা হয় এই গুহায় বসেই গণপতি মহাভারত রচনা করেছিলেন। বদ্রীনাথ ধামের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এখানে মানুষের চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment