নতুন গবেষণায় জানা গেছে বেশি ডিম ব্যবহারে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। আমেরিকায় ৩০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক সাধারণ মানুষের তুলনায় দৈনিক ডোজে একাধিক ডিম ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন। ফলাফলে জানা গেছে সাধারণ মানুষের তুলনায় ওইসব মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।
ইলিনয়ের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেছেন “আমাদের ডিম, প্রক্রিয়াজাত খাবার বা লাল মাংসে পাওয়া কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে হবে। সেই কোলেস্টেরল জমে থাকা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।" জামা জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয় যারা সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ টি ডিম ব্যবহার করেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৬ শতাংশ বেড়ে যায়। যেখানে এ ধরনের মানুষের মৃত্যুর হার ৮ শতাংশ বেশি। যাইহোক দৈনিক ৩০০ মিলিগ্রাম ফাইবার খাদ্যে ব্যবহার করাও হৃদরোগ এবং মৃত্যু বৃদ্ধির একটি কারণ।
গবেষণাটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ডক্টর নরিনা অ্যালেন বলেন "সুস্থ জীবনযাপন করতে হলে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।" ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র পুষ্টিবিদ ভিক্টোরিয়া টেলর বিশ্বাস করেন যে ডিম এবং কোলেস্টেরলের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে বের করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
তিনি বলেন শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার ব্যবহারই যথেষ্ট নয়। বরং এর মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করাও অত্যন্ত জরুরি। কোনো একটি খাবার বেশি ব্যবহার করলে আমাদের খাবারে অন্য উপযুক্ত খাবারের কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। উল্লেখযোগ্যভাবে আমেরিকায় বসবাসকারী লোকেদের প্রতিদিন গড়ে ৬০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল প্রয়োজন। যেখানে ব্রিটেনের লোকেরা ২২৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কোলেস্টেরল ব্যবহার করে। গবেষকরা বলছেন সপ্তাহে ৩-৪টি ডিম খাওয়া উপযুক্ত। এই সংখ্যাটি যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক খাদ্য নির্দেশিকাগুলির অংশ।
No comments:
Post a Comment