শরীরকে সুস্থ রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। অতিরিক্ত ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং স্থূলতা সম্পর্কিত অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। তবে যাদের ওজন বেশি তাদের জন্য এটা কমানো বড় চ্যালেঞ্জের কম নয়।
খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন থেকে শুরু করে রুটিনে নিয়মিত পরিবর্তন এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি, ওজন কমানোর জন্য প্রচুর মনোযোগ এবং প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কিছু মানুষ আছে যারা লক্ষ লক্ষ চেষ্টার পরেও তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, , তাহলে এই ভুলগুলো সংশোধন করতে সাহায্য করতে পারে।
আসুন জেনে নিই আমাদের অধিকাংশই কি ধরনের ভুল করে থাকি ?
ক্যালোরি :
ওজন কমানোর জন্য, আপনার ক্যালোরি গ্রহণের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর মানে হল যে আপনাকে রুটিন এবং ডায়েট এমনভাবে রাখতে হবে যাতে ক্যালরির পরিমাণ কম হয় এবং এটি যতটা সম্ভব বার্ন করা যায়। গবেষণা দেখায় যে প্রতি সপ্তাহে ৩৫০০ ক্যালোরি পোড়ালে আপনি আনুমানিক ৪৫০ গ্রাম হারাতে পারেন। ক্যালোরি পোড়ানোর জন্য বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন।
অত্যধিক ব্যায়াম ক্ষতিকারক:
যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তারা প্রায়শই দ্রুত ফলাফল পাওয়ার জন্য বেশি সময় ধরে ব্যায়াম করে থাকেন। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এটাকে খুবই ক্ষতিকর অভ্যাস বলে মনে করেন। আবার , অত্যধিক ব্যায়ামের কারণে, অন্তঃস্রাবী হরমোনের কার্যকারিতা প্রভাবিত হতে পারে, যা সারা শরীর জুড়ে ফাংশন সিস্টেমকে খারাপ করে দেয়।
সম্পূর্ণরূপে খাদ্য থেকে চর্বি পরিমাণ কমাতে
চর্বির পরিমাণ ওজন বাড়াতে পারে, এ জন্য খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর ও কম চর্বিযুক্ত জিনিস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। চর্বি গ্রহণ একেবারে কমিয়ে দিলেও স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কম চর্বিযুক্ত পণ্যগুলি প্রায়শই আপনাকে ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারে, যা ক্লান্তি এবং দুর্বলতার দিকে পরিচালিত করে।
খাদ্যের ভারসাম্যহীনতা ক্ষতিকর:
যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য সুষম খাদ্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক লোক প্রোটিন এবং ফাইবার গ্রহণ কম করে, কারণ প্রোটিন একটি পেশী নির্মাতা হিসাবে বিবেচিত হয়।
শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী, পেশি নয়। প্রোটিনের অভাব আপনার চুল এবং পেশী দুর্বল হতে পারে। একইভাবে, ফাইবার না খাওয়া আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের সমস্যা বাড়াতে পারে।
No comments:
Post a Comment