লাউডস্পিকার এবং রাস্তার নামাজের বিতর্কের মধ্যে আজ সারা দেশে আড়ম্বরে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় পুলিশ ও প্রশাসন তাদের পর্যায়ে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে। স্পর্শকাতর স্থানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কোথাও লাগাতার ফ্ল্যাগমার্চ করা হচ্ছে, আবার কোথাও ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুলিশের বাড়তি সতর্কতাও কারণ আজ পরশুরাম জয়ন্তী ও অক্ষয় তৃতীয়াও।
দিল্লির জামা মসজিদে সকাল ৬টায় শুরু হয় ঈদের নামাজ। একই সময়ে মুম্বাইয়ের মিনারা মসজিদে সকাল ৭টা থেকে নামাজ শুরু হবে। দেশের অন্যান্য শহরেও বিভিন্ন মসজিদ ও ইদগাহে নামাজিরা নামাজ আদায় করবেন।
বিদায় জুম্মের নামাজের মতো এবারও রাস্তায় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করেছে ইউপি সরকার। ভাই রোডে কাউকে নামাজ পড়তে দেওয়া হবে না। অন্য কয়েকটি রাজ্য রাস্তায় নামাজ না পড়ার আবেদন করেছে।
ইউপির এডিজি আইন শৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার বলেছেন, ঈদ, পরশুরাম জয়ন্তী ও অক্ষয় তৃতীয়াকে সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নজরদারি রাখা হয়েছে। রাজ্যে ৩১ হাজারের বেশি জায়গায় নামাজ পড়া হবে। ২০০০ এর বেশি স্পর্শকাতর স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ব্যাপক নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সড়কে নামাজ না পড়ার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনটি উৎসবই পারস্পরিক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে শেষ হবে। একই সময়ে, রাজস্থান সরকার রাস্তায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছে বলে খবর রয়েছে, যা নিয়ে বিজেপি নেতারা প্রতিবাদ করছেন।
মধ্যপ্রদেশের খারগোনে রাম নবমীর সময় সহিংসতার পরে জারী করা কার্ফু এখনও চলছে। এটি ঈদ, আখাতীজ ও পরশুরাম জয়ন্তীতেও হবে। এখানে যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কার্ফু জারী রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আজ পরশুরাম জয়ন্তীতে ভোপালে বড় অনুষ্ঠান রয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজও থাকবেন।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দিল্লী পুলিশকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ অসামাজিকদের ওপর বিশেষ নজর রাখছে। কোথাও যেন অপ্রয়োজনীয় ভিড় না জমে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আধাসামরিক বাহিনীর কিছু দলও জাহাঙ্গীরপুরীতে রয়েছে।
No comments:
Post a Comment