শরীরে নির্দিষ্ট হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হট ফ্ল্যাশ দেখা দেয়। এই সমস্যাটি মহিলা এবং পুরুষ উভয়েরই হয় এবং তাদের উভয়ের মধ্যেই ৫০ বছর বয়সের পরে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়।
হট ফ্ল্যাশ এমন একটি সমস্যা যাতে শরীর হঠাৎ গরম অনুভূত হয়, নার্ভাস বোধ করতে শুরু করে এবং হার্টবিট বেড়ে যায়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, পিত্ত দোষের বৃদ্ধি এবং বায়ু দোষের ভারসাম্যহীনতার কারণে হট ফ্ল্যাশের সমস্যা দেখা দেয়।
মেনোপজের পরে মহিলাদের মধ্যে হট ফ্ল্যাশ দেখা দেয়। কারণ শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এই সমস্যা হয়।
হট ফ্ল্যাশের লক্ষণগুলি পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে একই রকম। অর্থাৎ শরীরে গরম অনুভূত হওয়া, অস্থিরতা, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, কখনো কখনো শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, ত্বকে শুষ্কতা অনুভব করা এবং মুখ লাল হয়ে যাওয়া, শরীরের উপরের অংশে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, আঙ্গুলে শিহরণ দেখা। এই সমস্ত সমস্যা একসাথে ঘটে।
গরম ঝলকানি কারন :
চা এবং কফির অত্যধিক ব্যবহার
দীর্ঘায়িত চাপ
খুব টাইট পোশাক পরা
ধূমপান এবং অ্যালকোহল আসক্তি
অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার
হাইপার থাইরয়েড
খুব মশলাদার খাবার
পর্যাপ্ত ঘুম পাচ্ছে না
দৈনন্দিন জীবনে ধ্যান এবং যোগাসনের অভাব
হট ফ্ল্যাশ প্রতিরোধের টিপস:
উপরে উল্লিখিত কারণগুলির প্রতি মনোযোগ দিন এবং আপনার জীবনধারা থেকে একের পর এক বাদ দিন।
দিনে ৩০ মিনিট নির্জনে কাটান। এই সময় ধ্যান করুন। নিজেকে সময় দিন এবং আপনার মন শান্ত করুন। পূজোবা জপ ইত্যাদিও করতে পারেন।
আপনার খাদ্যতালিকায় পুষ্টির পূর্ণ যত্ন নিন। ভিটামিন, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ও ক্যালসিয়াম ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় রাখা।
যারা প্রতিদিন খাবারের পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে থাকেন, তাদের শরীর ও মন ধীরে ধীরে অসুস্থতা ও বিষণ্নতার দিকে যেতে থাকে। এগুলো হট ফ্ল্যাশের সমস্যাও বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রতিদিন ৪৫ মিনিট হাঁটা ও ব্যায়াম করুন।
No comments:
Post a Comment