ভারতীয় সিনেমার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রতি বছর এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ছবি তৈরি হয় এবং মানুষকে বিনোদন দেওয়া হয়।
এমতাবস্থায় এমন কিছু সিনেমা রয়েছে, যা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়ে দেশের মান বৃদ্ধি করেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই মুভিগুলো-
বাহুবলী দ্য বিগিনিং:
এসএস রাজামৌলির ছবি 'বাহুবলী দ্য বিগিনিং' বক্স অফিসে দারুণ হিট করেছিল। এর সাথে প্রভাস এবং রানা দাগ্গুবাতি অভিনীত ছবিটিও গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রবেশ করেছে। কোচির ইউনাইটেড মিডিয়া কোম্পানি এই ছবির ৫০,০০০ বর্গফুটের একটি পোস্টার তৈরি করেছিল, যার কারণে এর নাম গিনেস বুকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
কহো না প্যায়ার হ্যায় :
হৃতিক রোশনের প্রথম ছবি 'কহো না প্যায়ার হ্যায়'ও এই তালিকায় রয়েছে। ছবিটি শুধুমাত্র বক্স অফিসে হিট হয়নি, প্রায় ১০২টি পুরস্কার জিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও তৈরি করেছে।
এই ছবিতে হৃতিক রোশনের সাথে আমিশা প্যাটেল মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এই ছবির জন্য হৃতিক রোশন শুধু সেরা নবাগত অভিনেতার পুরস্কারই জিতেননি, সেরা অভিনেতার পুরস্কারও জিতেছেন।
য়াদে :
এই ' ছবির নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও স্থান পেয়েছে কারণ এতে একজনই অভিনেতা ছিলেন। সেই অভিনেতা ছিলেন সুনীল দত্ত, যিনি এই ছবির প্রযোজক ও পরিচালকও ছিলেন।
১৯৬৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি কালো এবং সাদা চলচ্চিত্র ছিল। ছবির শুরুতেই লেখা আছে বিশ্বের প্রথম এক অভিনেতার মুভি। সিনেমাটিতে একজন মানুষের গল্প দেখানো হয়েছে, কীভাবে সে একা বাড়ির জিনিস নিয়ে কথা বলতে বলতে পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো মনে রাখেন। এতে সুনীল দত্তের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন নার্গিস দত্ত, কিন্তু তিনি একবারও ছবিতে দেখা দেননি, শুধু তার কণ্ঠ শোনা যায়।
লাভ এন্ড গড :
আমাদের দেশে অনেক ভাষায় সিনেমা তৈরি হয়। একটা বানাতে কয়েক মাস লাগে, আর একটা বানাতে বছর লাগে। 'লাভ অ্যান্ড গড' এমন একটি চলচ্চিত্র যা তৈরি করতে ২৩ বছর লেগেছিল এবং সেই কারণেই এর নাম গিনেস বুকে রেকর্ড করা হয়েছে।
আসলে, এই ছবির নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৯৬৩ সালে, কিন্তু এক বছর পরে, ছবির প্রধান অভিনেতা গুরু দত্ত মারা যান। চার বছর পর ১৯৭০ সালে সঞ্জীব কুমারকে নিয়ে ছবির শুটিং শুরু হয়।
এরপর চলচ্চিত্র পরিচালক কে. আসিফের স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং তিনি ১৯৭১ সালে মারা যান। এরপর তার স্ত্রী আখতার আসিফ ছবিটির কাজ শেষ করেন এবং ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৮৬ সালের ২৭ মে।
No comments:
Post a Comment