তবে আমরা আপনাকে বলি যে খাবারে ব্যবহার করা ছাড়াও ভেজানো কিশমিশ খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। কিশমিশ ভিজিয়ে খেলে এতে চিনির পরিমাণ কমে যায় এবং এর পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। এর জন্য একটি পাত্রে ১০-১২ টি কিসমিস সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে ছেঁকে নিয়ে এই জল পান করুন। এছাড়াও বাকি কিসমিস ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে নিন। ক্যালসিয়াম আয়রন ফাইবার পটাসিয়াম ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রাতারাতি পানিতে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নিই ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
১। বৃদ্ধি: অনাক্রম্যতা সুস্থ থাকতে এবং রোগ এড়াতে হলে আরও ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে ভেজানো কিশমিশের পুষ্টিগুণ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এছাড়াও এর ব্যবহার আপনাকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে।
২। শারীরিক দুর্বলতা দূর করুন: গৃহস্থালির কাজ ও জীবনের ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় নারীরা নিজেদের ঠিকমতো যত্ন নিতে পারেন না। যার কারণে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে রক্তশূন্যতা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ভেজানো কিশমিশ খাওয়া তাদের সঠিক ওজন পেতে এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করার একটি ভাল উপায় হতে পারে। এছাড়া ভিজিয়ে রাখা কিশমিশে পাওয়া গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজও নারীদের শক্তিমান রাখতে সহায়ক।
৩। রক্তচাপ ঠিক রাখতে: ভিজিয়ে কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা দেখা যায় রক্তচাপের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি রক্তচাপের মাত্রা ঠিক রাখতে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদেরও ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment