২০২৫ সালের মহাকুম্ভের ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে, গ্রীসের পেনেলোপ এবং ভারতের সিদ্ধার্থ শিব খান্না হিন্দু বৈদিক ঐতিহ্য অনুসারে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সাধু ও সাধুরা বিবাহের অতিথি হয়েছিলেন এবং জুনা আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর যতীন্দ্রানন্দ গিরি কনেকে বিদায় জানান। ২৬শে জানুয়ারী অনুষ্ঠিত এই বিয়েতে আধ্যাত্মিক ও বৈদিক ঐতিহ্য অনুসরণ করা হয়েছিল।
প্রয়াগরাজে পেনেলোপ একটা হৃদয়স্পর্শী কথা বললেন
পেনেলোপের আধ্যাত্মিক যাত্রা এথেন্স থেকে প্রয়াগরাজ পর্যন্ত, এই যাত্রা কেবল ভৌগোলিক পরিবর্তনেই পূর্ণ নয়, বরং আধ্যাত্মিক পরিবর্তনেও পরিপূর্ণ। পর্যটন ব্যবস্থাপনায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী পেনেলোপ বৌদ্ধধর্ম দিয়ে শুরু করেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত সনাতন ধর্মকে তার জীবনের ভিত্তি করে তুলেছিলেন। পেনেলোপ বলেন, "সনাতন ধর্মই একমাত্র পথ যা সুখী জীবন এবং জন্ম ও মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তির দিকে পরিচালিত করে।"
সিদ্ধার্থ শিব খান্না কে জানেন?
সিদ্ধার্থের অনুপ্রেরণা। নয়াদিল্লির পাঞ্জাবি বাগের বাসিন্দা সিদ্ধার্থ শিব খান্না অনেক দেশে যোগব্যায়াম শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেন, "প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য অনুসরণ করা আমাদের সভ্যতার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমি মহাকুম্ভের ঐশ্বরিকতায় এই বিবাহ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
সিদ্ধার্থ এবং পেনেলোপের প্রেমের গল্পটি এভাবে শুরু হয়েছিল
তোমার দেখা কিভাবে হলো? পেনেলোপ বলেন, পর্যটন ব্যবস্থাপনা অধ্যয়নের পর যোগব্যায়ামের প্রতি তার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। ৯ বছর আগে থাইল্যান্ডে যোগব্যায়াম শেখার সময় সিদ্ধার্থের সাথে তার দেখা হয়। ধীরে ধীরে দুজনেই ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এবং বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। আধ্যাত্মিক বিবাহের অভিজ্ঞতা পেনেলোপ বলেন, "আমাদের বিবাহে কোনও ভান ছিল না। এটি সম্পূর্ণরূপে বৈদিক শাস্ত্র এবং আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। আমি একজন কনে হিসেবে ভারতীয় বিবাহের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি যা অবিস্মরণীয়।" আমি।"
মৌনী অমাবস্যায় স্বপ্ন সত্যি হবে
মহাকুম্ভের দেবত্বের অংশ হয়ে ওঠা পেনেলোপ এখন ২৯শে জানুয়ারী মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে সঙ্গমে ডুব দিয়ে এই আধ্যাত্মিক যাত্রাকে আরও পবিত্র করে তুলবেন। তাঁর মতে, "মহাকুম্ভের শুরু থেকে এখানে থাকা এবং সনাতন ধর্ম গ্রহণ করা আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা।"
প্রয়াগরাজে দুটি সংস্কৃতির এক অনন্য মিলন
মহাকুম্ভে অনন্য সঙ্গম গ্রীস ও ভারতের এই সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সঙ্গম ২০২৫ সালের মহাকুম্ভকে আরও বিশেষ করে তুলেছে। এই বিবাহ কেবল দুটি ব্যক্তিরই নয়, দুটি সংস্কৃতিরও মিলন, যা সনাতন ঐতিহ্যের দেবত্ব এবং সর্বজনীন আবেদনকে প্রতিফলিত করে।
No comments:
Post a Comment