ভোটার তালিকায় অনিয়ম: চার আধিকারিক সাসপেন্ড, FIR নয় আপাতত - Breaking Bangla

Breaking

Post Top Ad

Thursday, August 21, 2025

ভোটার তালিকায় অনিয়ম: চার আধিকারিক সাসপেন্ড, FIR নয় আপাতত


 ভোটার তালিকায় বেআইনি ভাবে নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের চার সরকারি আধিকারিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নবান্ন এই পদক্ষেপ করেছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। তবে কমিশন নির্দেশ দিলেও আপাতত তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়নি।


কমিশনের নির্দ৮ আগস্ট নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি পাঠিয়ে অভিযুক্ত চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের ও বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপের রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠা আধিকারিকদের মধ্যে রয়েছেন দুই জন নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক (ERO) এবং দুই জন সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক (AERO)। তাঁরা যথাক্রমে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দায়িত্বে ছিলেন।


রাজ্য সরকারের অবস্থান


নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পর রাজ্য প্রথমে কিছুটা সতর্ক অবস্থান নেয়। মুখ্যসচিব লিখিতভাবে কমিশনকে জানান, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক সুদীপ্ত দাস এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্বের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুরজিৎ হালদারকে ভোট সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে সরানো হচ্ছে। তবে বাকি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তখনই কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয় বলেও জানায় নবান্ন।


মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য


এই ঘটনা ঘিরে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি কোনও সরকারি আধিকারিককে শাস্তি দিতে দেব না। নির্বাচন এখনও অনেক দূরে, অথচ কমিশন এখন থেকেই অতিসক্রিয় হয়ে পড়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কমিশনের নির্দেশ আসলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করার চেষ্টা।


দিল্লি তলব


১৩ আগস্ট মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক হয়। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।


 নবান্ন সূত্রে খবর, চার আধিকারিককেই সাময়িকভাবে বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে না। শুধু ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিংস বা বিভাগীয় তদন্ত চলবে।


এই ঘটনায় কমিশন ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও একবার প্রকাশ্যে এল। একদিকে কমিশনের চাপ, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান—ফলে প্রশাসনের ভিতরে দ্বিধার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকেই।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad