পাকিস্তানে হিন্দুদের শেষকৃত্য কিভাবে হয়?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৩ জুলাই : পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অবস্থা কারো কাছে গোপন নয়। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের খারাপ অবস্থার কথা অনেক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় ধর্মান্তর থেকে শুরু করে সামাজিক নিপীড়ন পর্যন্ত বিষয়গুলো। আজ জানবো যে পাকিস্তানে বর্তমান হিন্দু ধর্মের লোকেরা কীভাবে শেষকৃত্য করে, সেখানে কি শ্মশান আছে-
পাকিস্তানের করাচি শহরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্বাধিক সংখ্যক লোক বাস করে। করাচির শহরতলী লিয়ারিতে হিন্দুদের জন্য সবচেয়ে বড় শ্মশান তৈরি করা হয়েছে। পাকিস্তান সরকার হিন্দুদের শেষকৃত্যের জন্য কয়েকটি জেলায় জমি দিয়েছে। কিন্তু করাচিসহ অন্যান্য শহরে বসবাসকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শ্মশানে শেষকৃত্য করতে পারছেন না। এর পেছনের কারণ হল হিন্দুদের সমস্ত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া না পাওয়া এবং মুদ্রাস্ফীতি। এ কারণে হিন্দুরাও মৃতদেহ কবর দেয়। তবে হিন্দুদের মৃতদেহ মুসলিম পদ্ধতিতে কবর করা হয় না। হিন্দুরা মৃতদেহকে বসা অবস্থায় অর্থাৎ আড়াআড়িভাবে কবর দেয়। হিন্দু ধর্মে একে ধ্যান ভঙ্গি বলা হয়। এ জন্য মুসলমানদের মতো কবরের পরিবর্তে একটি গোলাকার গর্ত খনন করে তার ওপর শঙ্কু আকৃতির সমাধি নির্মাণ করা হয়।
পাকিস্তানে কত হিন্দু:
২০১৭ সালের আদমশুমারির ফলাফল অনুসারে, এখানে ১.৬ শতাংশ হিন্দু, ১.৬ শতাংশ খ্রিস্টান, ০.২ শতাংশ আহমদী মুসলিম এবং ০.৩ শতাংশ অন্যান্য জনসংখ্যা রয়েছে, যার মধ্যে বাহাই, শিখ এবং পার্সি রয়েছে। অনেক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানে দ্রুত গতিতে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।
শেষকৃত্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সংখ্যালঘুরা :
হিন্দু ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও পাকিস্তানে শ্মশান নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়। তথ্য অনুযায়ী, খ্রিস্টান, পাঞ্জাবি ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দাহ করার জন্য জমি দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। কিন্তু জনসংখ্যা অনুযায়ী সেসব জমি খুবই কম এবং দূরত্বে অবস্থিত। তাই শেষকৃত্যের জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। পাকিস্তানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সামগ্রীও সহজে পাওয়া যায় না, যার কারণে সেখানকার মানুষ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। এখন পরিস্থিতি এমন যে হিন্দুসহ অন্যান্য অনেক ধর্মের সংখ্যালঘু মানুষ তাদের প্রিয়জনকে তার মৃত্যুর পর কবর দেয়, যদিও কবরের এই পদ্ধতি মুসলমানদের থেকে আলাদা।
No comments:
Post a Comment