অনিদ্রা থেকে মুক্তি পেতে চান এভাবে খান কিশমিশ
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১১ জুলাই : কিশমিশ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য একটি বর হতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন সি, বি৬ ভিটামিন পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে এটি খেলে আমরা অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। বেশিরভাগ মানুষ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে কিশমিশ খান। কেউ কেউ এর জলও পান করেন। এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ নানাভাবে আমাদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
তবে আপনার এটাও মাথায় রাখা উচিত যে কিশমিশ আমাদের শরীরের জন্য কীভাবে উপকারী এবং কীভাবে এটি খাওয়া উচিত। চলুন জেনে নেই বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে-
জয়পুরের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট এবং আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কিরণ গুপ্তা বলেছেন যে কিশমিশ আমাদের জন্য নানাভাবে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। বিশেষ করে যাদের অ্যাসিডিটি বা হজমজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া এতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক:
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে এটি আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়ক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে যাদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম তারা কিশমিশ খেতে পারেন।
পেটের জন্য উপকারী:
ডাক্তার বলেছেন কিশমিশ পেটের জন্য খুব ভালো। এমন পরিস্থিতিতে যাদের হজম সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে যেমন খাবার সঠিকভাবে হজম করতে না পারা এবং অ্যাসিডিটি তাদের প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, প্রায়ই দিনে তিনবার কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
শক্তিশালী হাড়ের জন্য:
কিশমিশেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। অতএব, এটি আপনার হাড়কে শক্তিশালী করতেও উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা:
ঘুম সংক্রান্ত সমস্যায়ও কিশমিশ উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এ জন্য চিকিৎসক বলেছেন, এ জন্য রাতে জিরের গুঁড়ো কিশমিশ এবং এর পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কিশমিশ খাওয়ার সঠিক উপায় :
ডাক্তার বলেছেন যে কোন সময় কিশমিশ খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে কিশমিশ খাওয়াও উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এর জন্য, ১০ থেকে ২০টি কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং তারপরে পরদিন সকালে কিশমিশ এবং সেই জল খেতে হবে। পেট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসক রোগীকে দিনে তিনবার কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment