এবারের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম কি?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২১ জুন : আন্তর্জাতিক যোগ দিবস প্রতি বছর ২১ জুন পালিত হয়। যোগের গুরুত্ব এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য যোগ দিবস পালন করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্বস্তরে যোগব্যায়াম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং এটিকে তাদের জীবনধারার অংশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। যোগব্যায়াম শুধুমাত্র শারীরিক নয় মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়। যোগ দিবসের মাধ্যমে মানুষ যোগব্যায়াম সম্পর্কে শিক্ষিত হয় এবং তাদের মনে যোগ সংক্রান্ত ভুল ধারণা দূর হয়। আজকের সময়ে, ভারত যোগকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এর সাথে সাংস্কৃতিক একতাকেও উন্নীত করেছে। শরীরকে অনেক রোগ থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়।
যোগব্যায়াম আমাদের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা সকলেই জানি, তবে যোগব্যায়াম কীভাবে শুরু হয়েছিল এবং কেন প্রতি বছর যোগ দিবস পালিত হয় তা জানাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর যোগ দিবস একটি নির্দিষ্ট থিমের সাথে পালিত হয়, তাই আসুন জেনে নিই আন্তর্জাতিক যোগ দিবস-এর থিম কী এবং কেন এই দিনটি বিশেষ-
যোগ দিবস কেন পালিত হয়:
ভারতকে যোগগুরু বানানোর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে যায়। তিনি ১৪ সেপ্টেম্বর-এ একটি বৈঠকে যোগ দিবস উদযাপনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। একই বছর, ১১ ডিসেম্বর-এ, জাতিসংঘ পরিষদ প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। এর পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের জন্য ২১ জুন বেছে নিয়েছিলেন। এই প্রস্তাবটি ১৭৭টি দেশ সমর্থন করেছিল।
প্রথম কবে যোগ দিবস পালিত হয়:
যোগ দিবস ২১ জুন ২০১৫ এ প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছিল। এই দিনে লক্ষাধিক মানুষ সম্মিলিতভাবে যোগব্যায়াম করেছিলেন। ভারতের এই প্রধান অনুষ্ঠানটি দিল্লির রাজপথে আয়োজিত হয়েছিল যাতে প্রায় ৩৫,০০০ লোক অংশগ্রহণ করেছিল।
আন্তর্জাতিক যোগ দিবস এর থিম কি?
প্রতি বছর যোগ দিবস একটি বিশেষ থিম নিয়ে পালিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য দেশের নারীদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস-এর থিম হল "মহিলা ক্ষমতায়নের জন্য যোগ"। এই থিমটি হল নারীদের সুখী জীবনযাপনে অনুপ্রাণিত করা। ২১শে জুন সারা বিশ্বে এই থিমের অধীনে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
যোগ দিবসের গুরুত্ব কী?
শারীরিক, উন্নত মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি
ইতিবাচক জীবনধারা
ভারতীয় ঐতিহ্যকে দেশে এবং বিদেশে বিখ্যাত করা।
No comments:
Post a Comment