সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার খবরে কী বললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী?
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২২ জুন : লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি বদল নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সূত্রের বরাত দিয়ে এটি ক্রমাগত বলা হচ্ছিল যে রাজ্য দলের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং দলীয় হাইকমান্ডের কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন, তবে এখন অধীর রঞ্জন চৌধুরী পরিস্থিতি স্পষ্ট করেছেন। এমন জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন তিনি। আসলে, এবার তিনি লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন এবং জয়ের হ্যাটট্রিক করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
বহরমপুরের 'রবিন হুড' অধীর চৌধুরীর দুর্ভেদ্য দুর্গ ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অধীর তার আসন হারান। অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন যে কংগ্রেসের সংবিধান অনুসারে, জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সমস্ত রাজ্য ইউনিটের সভাপতিরা অস্থায়ী প্রধান হয়ে উঠেছেন। তিনি বর্তমানে কংগ্রেসের রাজ্য ইউনিটের অস্থায়ী সভাপতি। আশ্চর্যের বিষয় যে, আমরা পদত্যাগ করেছি এমন গল্প বানানো হচ্ছে।
এবার রাজ্য লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব দেখাতে পারেনি ভারত জোট। কংগ্রেস অধীর রঞ্জনের নেতৃত্বে বাম দলগুলির সাথে জোট গঠন করেছিল এবং তৃণমূলের সাথে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছিল, তবে এটি কোনও ভাল ফলাফল পায়নি। অধীর নিজেই নিজের আসন হারান। টিএমসি তার বিরুদ্ধে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে মাঠে নামিয়েছিলেন, যিনি জিতেছিলেন। বহরমপুরে প্রচারের সময় অভিষেক ব্যানার্জি বাংলায় ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের ব্যর্থতায় অধীর চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিলেন।
কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বাংলার এই সমীকরণ নিয়ে কথা বলেছিলেন। খাড়গে বলেছিলেন যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দলের হাইকমান্ড রয়েছে। দলীয় হাইকমান্ড যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। এদিকে, অধীর রঞ্জনের পর রাজ্যের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হতে পারেন তা নিয়ে একটি বড় প্রশ্ন উঠেছে? কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্য সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী। এ ছাড়া প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আবদুল মান্নানকেও রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment