মাশরুম কফির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা

মাশরুম কফির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা

ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৭ মে : চা প্রেমীদের মতো, কফি প্রেমীদের অভাব নেই।  আপনি অফিসে কাজ করার সময় অলসতা দূর করতে চান বা একটি ফ্রেশ মর্নিং কিক প্রয়োজন।  এক কাপ কফি পান পছন্দ করে।  যদিও কফির অনেক কম্বিনেশন আছে, যার মধ্যে আমেরিকানো কফি, এসপ্রেসো, ডাবল শট এসপ্রেসো, ল্যাটে, ম্যাক ক্যাটো, ফ্র্যাপে, মোচা বেশ জনপ্রিয়।  চলুন জেনে নেই মাশরুম কফি সম্পর্কে-

  সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী।  নিয়মিত কফি দিয়ে এটি পরিবর্তন করতে পারেন।

 ইতিহাসের কথা বললে, তথ্য অনুসারে, মাশরুম কফির প্রচলন হয়েছিল ১৯৩০ এবং ১৯৪০ এর দশকে।  এটি ঔষধি হিসাবে ব্যবহৃত হত।  শক্তি বৃদ্ধি ছাড়াও এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।  তো চলুন জেনে নেই এর উপকারিতা এবং কীভাবে তৈরি করবেন-

 কীভাবে মাশরুম কফি তৈরি করবেন:

 রেইশি, চাগা, কর্ডিসেপসের মতো মাশরুমগুলি সাধারণত মাশরুম কফির জন্য ব্যবহৃত হয় এবং শুকিয়ে গুঁড়ো আকারে প্রস্তুত করা হয়।  মাশরুম কফি বানাতে গরম জল , ইন্সট্যান্ট কফি এবং মাশরুম পাউডার ছাড়াও স্বাদ অনুযায়ী দুধ ও মিষ্টি দিয়ে পান করতে পারেন।  প্রথমে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি কপি তৈরি করুন তারপর এতে মাশরুমের গুঁড়ো যোগ করুন।  ভালভাবে মেশানোর পরে, আপনি মিষ্টি যোগ করতে পারেন এবং এইভাবে আপনার মাশরুম কফি প্রস্তুত হয়ে যাবে।  এটি অল্প পরিমাণে শুরু করা যেতে পারে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ:

 মাশরুম কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কার্যকর।  মাশরুম ফাইবার সমৃদ্ধ যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।  যাইহোক, এটি মাশরুমের গুণমান এবং এটি প্রস্তুত করার প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে।

 ভাল ইমিউন সিস্টেম:

 কিছু মাশরুমে এমন যৌগ থাকে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়ক।  আপনি যদি এইভাবে মাশরুম কফি খান তবে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।

 মানসিক চাপ এবং অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রক্ষা করবে:

 চাগা, রেইশির মতো মাশরুমে অ্যাডাপটোজেনিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।  মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি, এটি অন্যান্য অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাও প্রতিরোধ করতে পারে।  যদিও মাশরুম কফির উপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কোনো সঠিক গবেষণা পাওয়া যায় না, তবে গর্ভবতী মহিলা, বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েরা ইত্যাদি যারা কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শের পরই এটি খাওয়া উচিত।