কবর থেকে নাবালিকা কিশোরীর মরদেহ বের করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদ, ১৭ ফেব্রুয়ারী : মুর্শিদাবাদ জেলায় হাইকোর্টের নির্দেশে একটি মৃত কিশোরীর দেহ উত্তোলন করা হয়েছে। কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ১৩ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তার চোখ বের করা হয়। স্তনও কেটে ফেলা হয়। মৃত্যুর প্রায় ২০ দিন পর, কিশোরীর দেহ এখন ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হবে। হরিহরপাড়ার বাসিন্দা ১৩ বছরের এক কিশোরী প্রায় ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। ২৭ জানুয়ারি হরিহরপাড়া গ্রামের একটি সর্ষে ক্ষেত থেকে মেয়েটির দেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের দাবি, কিশোরীর চোখ কেটে তুলে ফেলা হয়েছে এবং তার স্তন কেটে ফেলা হয়েছে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, অপহরণ ও শারীরিক নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করে সর্ষে ক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও তার আগেই দেহ কবর দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। হাইকোর্ট দেহটি কবর থেকে তুলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশে দেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দেহ অপসারণের সময় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। নাবালিকা কিশোরীর ওপর বর্বরতার পর স্থানীয়দের ক্ষোভ আকাশচুম্বী। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
No comments:
Post a Comment