মহাকালের ভস্ম ব্যবহার করা হল রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায়
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২২ জানুয়ারি : শতাব্দীর অপেক্ষার অবসান, রাম লালা তাঁর জন্মস্থান অযোধ্যার রাম মন্দিরে সিংহাসনে বসেছেন। মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে রামলালাকে পবিত্র করার আনুষ্ঠানিকতা। গর্ভগৃহ থেকে শ্রী রামকে প্রথমবার দেখা গেল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই রামলালার চোখ থেকে বাঁধন সরিয়ে তাঁকে কাজল লাগান।।
শ্রী রাম পীতাম্বর দ্বারা বিভূষিত, তাঁর হাতে একটি ধনুক এবং তীর রয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে রাম মন্দিরে প্রাণের পবিত্রতার জন্য অনেক উপকরণ পাঠানো হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মহাকালের ভস্ম দিয়ে রামলালার পূজা সম্পন্ন হয়।
রাম ভগবান বিষ্ণুর অবতার, শ্রী হরি বিষ্ণু শঙ্খ, চক্র, গদা এবং পদ্ম খুব পছন্দ করেন, তাই এই উপকরণগুলি জীবনের পবিত্রতায় ব্যবহৃত হত। রামলালার জীবনের পবিত্রতায় উজ্জয়িনী মহাকাল ভস্মের বিশেষ ব্যবহারও করা হয়েছিল। কথিত আছে মহাকালের ভস্ম শ্মশান থেকে আনা হয়। ভস্মকে ভগবান শিবের প্রিয় অলঙ্কার বলে মনে করা হয়। শিব ধ্বংসের দেবতা। ভস্ম পরা ভোলেনাথ এই বার্তা দেয় যে যখন এই পৃথিবী ধ্বংস হবে তখন সমস্ত জীবের আত্মা ভগবান শিবের সাথে মিলিত হবে।
বাবা মহাকালের ভস্ম আরতি বিশ্ব বিখ্যাত:
মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনে অবস্থিত। এখানকার ভস্ম আরতি সারা বিশ্বে বিখ্যাত। প্রতিদিন বাবাকে ছাই মাখানো হয়।
ভস্ম আরতি নিয়ে অনেক বিশ্বাস প্রচলিত আছে। কথিত আছে, প্রাচীনকাল থেকেই মহাকাল বাবাকে চিতার ছাই নিবেদন করা হলেও এখন এখানে গোবরের পিঠা থেকে বিশেষ ছাই তৈরি করা হয়।
পলাশ, বাদাম, শমী, পিপল, আমলতাস, বায়র গাছের কাঠ ও গোবরের পিঠা একসঙ্গে পুড়ে যায়। পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়। তারপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ছাঁকিয়ে বাবাকে সাজানো হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, যাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় মহাদেব সজ্জিত হন তিনি মোক্ষ লাভ করেন।
ভস্ম আরতি:
ধর্মীয় বিশ্বাস ও পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, বহু বছর আগে উজ্জয়িনে দুষণ নামে এক রাক্ষস ছিল যে সেখানকার প্রজা ও রাজার উপর অত্যাচার করত। তার প্রতি বিরক্ত হয়ে লোকেরা মহাদেবের পূজা করে এবং তার সুরক্ষা চেয়েছিল। কথিত আছে তাঁর পূজা গ্রহণ করার পর মহাদেব স্বয়ং সেই অসুরকে বধ করেন। অতঃপর তিনি অসুরের ছাই দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করেন এবং তারপর সেখানে স্থায়ী হন। সেই থেকে এই স্থানের নাম হয় মহাকালেশ্বর এবং তখন থেকেই শুরু হয় ভস্ম আরতি।
No comments:
Post a Comment