চুল পড়ার আসল কারণ হল এটি

 

 চুল পড়ার আসল কারণ হল এটি

ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৯ জানুয়ারি : বর্তমান ব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপ একটি সাধারণ পরিস্থিতিতে পরিণত হয়েছে।  অফিসের কাজ হোক, ঘরের দায়িত্ব হোক বা ব্যক্তিগত সমস্যা, সবার জীবনেই চাপ থাকে।  এই মানসিক চাপের প্রথম এবং দ্রুত প্রভাব পড়ে আমাদের চুল এবং ত্বকে।  আমরা যখন মানসিক চাপের মধ্যে থাকি তখন আমাদের শরীরে কর্টিসল নামক একটি হরমোন তৈরি হয় যা আমাদের ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।  এর ফলে শুধু চুলই ধূসর হয়ে যায় না, চুল পড়াও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

 ক্রমাগত চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা যা নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন।  এর অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন খাদ্যে ঘাটতি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ভিটামিনের অভাব, মানসিক চাপ ইত্যাদি।  তবে এর মধ্যে মানসিক চাপ একটি খুব বড় কারণ।

 চুল পড়ার কারণগুলো:

 মানসিক চাপ এবং চুল পড়ার মধ্যে সম্পর্ক একটি গুরুতর সমস্যা যা আমরা উপেক্ষা করতে পারি না।  স্ট্রেস বিভিন্ন অবস্থার সাথে যুক্ত যা চুল পড়ার কারণ।  চিকিৎসা গবেষণা অনুসারে, স্ট্রেস তিন ধরনের চুলের ক্ষতি করে - টেলোজেন এফ্লুভিয়াম, ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া এবং অ্যালোপেসিয়া আরেটা।

 টেলোজেন ইফ্লুভিয়াম:

টেলোজেন এফ্লুভিয়াম হল এমন একটি অবস্থা যেখানে মানসিক চাপের কারণে হঠাৎ করে অতিরিক্ত চুল পড়া হয়।  এতে চুলের বৃদ্ধির চক্র ব্যাহত হয় এবং চুল পড়ে।  হেয়ার পোর হল সেই জায়গা যেখান থেকে চুল বের হয়।  তাদের অত্যধিক কার্যকলাপের কারণে, চুল বড় প্যাচগুলিতে পড়তে শুরু করে, বিশেষ করে মাথার মাঝখানের অংশ থেকে।  এটি একটি সাময়িক সমস্যা।  স্ট্রেস শেষ হওয়ার পরে, চুল সাধারণত ১০ মাসের মধ্যে আবার বাড়তে শুরু করে।

 ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া:

 ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া একটি সমস্যা যাকে চুল টানার ব্যাধিও বলা হয়।  এই অবস্থায়, ব্যক্তি বারবার তার চুল টানার একটি অনিয়ন্ত্রিত ইচ্ছা শুরু করে। যখন একজন ব্যক্তির উপর চাপের মাত্রা খুব বেশি হয়, তখন চুল টানানো তার জন্য এক ধরণের মোকাবিলা প্রক্রিয়া হয়ে ওঠে।  চুল টানা কিছু সময়ের জন্য একজন ব্যক্তিকে স্বস্তি দেয়।  কিন্তু একটানা চুল টানার ফলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চুল পড়া শুরু হয়।  এটি একটি গুরুতর সমস্যা যার জন্য মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন।

 অ্যালোপেসিয়া:

 অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা এমন একটি সমস্যা যেখানে লোমযুক্ত জায়গায় ছোট ছোট গোলাকার দাগ তৈরি হতে শুরু করে এবং সেই জায়গাগুলি থেকে চুল পড়তে শুরু করে।  একে চুল সম্পর্কিত অটোইমিউন ডিসঅর্ডারও বলা হয়।  এতে শরীরের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেম চুলের গোড়া এবং লোমকূপকে আক্রমণ করে।এই সমস্যার অনেক কারণ থাকতে পারে যার মধ্যে মানসিক চাপও রয়েছে।  স্ট্রেস বাড়লে অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা খারাপ হতে পারে এবং চুল পড়া ত্বরান্বিত হতে পারে।  তাই মানসিক চাপ এড়ানো জরুরি।