এই থেরাপির মাধ্যমে তাড়াতাড়ি বার্ধক্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২২ মে : স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সঠিক পরিমাণে জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। জল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং কালো দাগ, ব্রণ বা অন্যান্য সমস্যা থেকে আমাদের থেকে দূরে রাখে। আসলে, জাপানের লোকের ত্বক উজ্জ্বল থাকে এবং এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল জাপানি ওয়াটার থেরাপি যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং ত্বকে অনেক উপকার দেয়। আসুন জেনে নেই জাপানিরা কীভাবে ওয়াটার থেরাপি অনুসরণ করে এবং কীভাবে এটি উপকারী-
জাপানি ওয়াটার থেরাপি:
জাপানে, ত্বকের যত্নের জন্য জল পানের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় এবং তার মধ্যে একটি হল ওয়াটার থেরাপি। এতে সারাদিন সর্বোচ্চ জল পান করতে হবে। জাপানি ওয়াটার থেরাপিতে, আমাদের সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে ৪ থেকে ৬ গ্লাস জল পান করা উচিৎ। প্রতিটি গ্লাসের আয়তন ১৬০-২০০ মিলি হওয়া উচিৎ। জলের তাপমাত্রা ঘরের তাপমাত্রায় হওয়া উচিৎ বা এটি উষ্ণ হওয়া উচিৎ।
এটি পান করার পরেই ব্রাশ করতে হবে এবং তারপর ৪৫ মিনিটের জন্য কিছু খাওয়া যাবে না বা পান করা যাবে না। এই সময়ের মধ্যে যোগব্যায়াম বা ওয়ার্কআউটের মতো শারীরিক কার্যকলাপ করা যেতে পারে। জাপানি ওয়াটার থেরাপি অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে দু ঘণ্টার ব্যবধান রাখতে হবে এবং সময় ভেঙ্গে কিছু খাওয়া যাবে না। সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের ১৫ মিনিট পর কিছু খাওয়া বা পান করা যাবে না। যদি একবারে ৬ গ্লাস জল পান করতে না পারা যায় তবে এটিতে ২-২ মিনিটের ব্যবধান রাখতে হবে।
জাপানি ওয়াটার থেরাপির সুবিধা :
আর্দ্রতা ধরে রাখে:
আমাদের ত্বক শরীরের ৩০ শতাংশ জল ধরে রাখে এবং এর অভাবে ত্বক ফর্সা দেখাতে শুরু করে। যদি শরীরে জলের পরিমাণ বজায় রাখা হয় তবে এতে আর্দ্রতা থাকে।
টক্সিন বের হতে পারে:
শরীরে টক্সিন থাকে এবং তা বের না হলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকেরও ক্ষতি হয়। প্রায় ৬ গ্লাস জল পান করলে টক্সিন সহজেই বের হয়ে যায়।
তাড়াতাড়ি বার্ধক্য থেকে মুক্তি পাওয়া:
ত্বকে অকাল বলিরেখা বা ফ্রেকলস আজকাল সাধারণ ব্যাপার। অকালে বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে ত্বক নিস্তেজ ও প্রাণহীন দেখায়। তাই প্রতিদিন সঠিক উপায়ে জল পান করতে হবে।
No comments:
Post a Comment