ভাল লাভ কুমড়ো চাষে
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ মে : ঝাড়খণ্ডের কৃষকরা ঐতিহ্যবাহী ফসলের পাশাপাশি উদ্যান ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এতে কৃষকরা ভালো লাভবান হচ্ছেন। ঝাড়খণ্ডের কৃষকরা শুধু আলু, টমেটো, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, পালং শাক, লাউ, লাল শাক এবং ক্যাপসিকাম চাষ করছেন না, কুমড়ো বড় আকারে চাষ করছে। বিশেষ বিষয় হল পশ্চিম সিংভূম জেলায় অনেক কৃষক কুমড়ো চাষ করে উদাহরণ তৈরি করেছেন। এতে কৃষকরা লক্ষ লক্ষ টাকার লাভবান হচ্ছেন।
NBT-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলার আনন্দপুর ও মনোহরপুর ব্লকে বিপুল সংখ্যক কৃষক গম চাষ করছেন। এ কারণে তার আয় বেড়েছে। এই দুটি ব্লকেই রবি শস্য তোলার পর কৃষকরা অবিলম্বে ফসল বপন করে। বিশেষ বিষয় হল এই কৃষকরা জলের উৎসের কাছে কুয়াশা বপন করে। এমতাবস্থায় তাদের খুব কম সেচ দিতে হয়। সেই সঙ্গে অল্প সময়ে ফসলও তৈরি হয়।
কুমড়ো চাষে আয় বেড়েছে:
মনোহরপুর ব্লকের দুকুরডিহ গ্রামের বাসিন্দা অশোক মাহাতো জানান, এবার তাঁর কুমড়োর ফলন ভালো হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি ৫০০ কুইন্টাল কুমড়ো বিক্রি করেছেন। এটি তাদের প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে মাঠে প্রচুর কুমড়ো আছে। অশোক মাহাতো জানান, আগে তিনি সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতেন, তাতে তেমন লাভ হয়নি। কিন্তু খোদা চাষ থেকে তার আয় বেড়েছে। তারা কম খরচে বেশি মুনাফা করছে।
কুমড়ো চাষ করে ধনী হয়েছেন কৃষকরা:
জেলা কৃষি আধিকারিক বলছেন, দুটি ব্লকেই গম চাষই এখন কৃষকদের কর্মসংস্থানের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তবে আগেকার কৃষকরা ঐতিহ্যবাহী ফসল চাষ করতেন। কিন্তু এখন নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে কম খরচে বেশি লাভ হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা জানান, কৃষকদের খোদা চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি সেচের জন্য পাইপ ও কুমড়োর বীজ সরবরাহ করা হয়। এখানে ছোট ও প্রান্তিক কৃষকরা গড়ে ১৫ থেকে ২০ টন কুমড়ো উৎপাদন করছেন, আর বড় কৃষকরা ৬০ টন পর্যন্ত কুমড়ো উৎপাদন করছেন। অন্যান্য রাজ্যের ব্যবসায়ীরা এসে এসব কৃষকের কাছ থেকে কুমড়ো কিনছেন।
No comments:
Post a Comment