এই জাতের পটল চাষে হবে উপকার
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৪ মে : লাউ, বাঁধাকপি, আলু এবং বেগুনের পাশাপাশি, বিহারের কৃষকরাও বড় আকারে পটল চাষ করে। এই কারণেই পটল গরমের মরসুমে বিহারের প্রধান সবজি হয়ে ওঠে। বিয়ে থেকে শুরু করে যেকোনও পার্টিতেই তৈরি হয় পটলের সবজি। এই সবজি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এটি খেলে শরীর সুস্থ থাকে। এমতাবস্থায় কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতিতে এই সবজি চাষ করলে ভাল আয় করতে পারে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, খোদাভান্দপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ডক্টর রামপাল বলেন, গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় পটল চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তবে বেলে দোআঁশ মাটি চাষের জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়। এর চাষ শুরু করার আগে কৃষকদের উচিৎ জমিতে জল নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা করা। অন্যথায় জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের ক্ষতি হতে পারে।
এগুলি পটলের সেরা প্রজাতি:
বিহারে প্রধানত দুটি প্রজাতির পারওয়াল রয়েছে। কল্যাণী, নিরিয়া, বিহার শরীফ, দান্দালি, সান্তোখিয়া, গুল্লি এবং সোপারি সফেদা প্রথম আঞ্চলিক জাত। একইভাবে HP ১, HP ৩, AFP ১, AFP ৩, AFP ৪, HP ৫এবং HP ৪ অন্যান্য প্রজাতির সেরা জাত। এসব প্রজাতির পটল চাষ করে কৃষকরা ভালো আয় করতে পারে। বিজ্ঞানী ড. রামপাল বলেন, নার্সারিতে সবসময় এক বছর বয়সী লতা কেটে তৈরি করতে হবে, যার ফলে ফসলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়।
কৃষক ভাই যদি পটল চাষ করতে চান, তাহলে সবার আগে ভালো করে ক্ষেত চাষ করুন। তারপর মাঠ সমতল করার পর দেড় থেকে দু মিটার দূরত্বে ৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার গভীর গর্ত খনন করতে হবে। এরপর ৮ থেকে ১০ বান্ডিল পটল লতার একটি বান্ডিল তৈরি করে গর্তে মাটির ভিতরে পুঁতে দিন। তবে কিছু অংশ মাটির উপরে রাখুন, যাতে লতাগুলো ভালোভাবে জন্মাতে পারে। একই সঙ্গে গোবরের পাশাপাশি ইউরিয়া, ফসফরাস ও পটাশও সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে ৮ দিন পর পর সেচ দিতে পারেন। শীত মৌসুমে ২০ দিন পর সেচের প্রয়োজন হয়, আর গরমে মৌসুমে ১০ দিন পর সেচ দিতে হয়।
No comments:
Post a Comment