বছরে মাত্র এক মাসই দেখা যায় এই গ্রাম
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ মে : আমাদের দেশে ৬ লক্ষ ৪০ হাজারেরও বেশি গ্রাম রয়েছে এবং প্রতিটি গ্রামের গল্প অনন্য। তাই বলা হয় প্রকৃত ভারত এই গ্রামেই বাস করে। প্রতিটি গ্রাম তার নিজস্ব বিশেষত্বের জন্য পরিচিত। কিন্তু জানেন কী যে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যা বছরে মাত্র এক মাসই দেখা যায়? চলুন এই গ্রাম সম্পর্কে জেনে নেই-
এই গ্রামটি আছে গোয়ায়।
লোকসা:
আমরা সমুদ্র সৈকত এবং মজার জন্য বিখ্যাত গোয়ায় বেড়াতে যাই। এখানে একটি গ্রাম আছে যা শুধুমাত্র মে মাসেই দেখা যায়। এই গ্রামের নাম কুর্দি। সারা বছর শুধু মে মাসেই এই গ্রামকে দেখতে পারা যায়।
সালাউলিম বাঁধ:
আসলে, ১৯৮০ সালে দক্ষিণ গোয়ায় জলের অভাব ছিল। এরপর জনগণকে জল সরবরাহের জন্য বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এই পরিকল্পনার অনুমোদনের পর, ১৯৮৬ সালে এখানে সালাউলিম বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাঁধ নির্মাণের জন্য এর আশপাশের ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ খালি করা হয়। এই বাঁধ জল গ্রহণ এলাকা ছিল।
বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬৩৪টি পরিবার:
এই এলাকায় কুর্দি গ্রামও পড়ে। এ কারণে এখানে বসবাসকারী প্রায় ৬৩৪টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্য জায়গায় বসতি স্থাপন করেছে। গ্রাম ফাঁকা হয়ে গেছে কিন্তু লোকের বাড়ি-ঘর-দোকান, কারখানার স্মৃতি রয়ে গেছে। বছরের এক মাস (মে-জুন) যখন এখানকার জল শুকিয়ে যায়, তখন এই গ্রামটি স্পষ্ট দেখা যায়।
পর্যটকদের মধ্যে বিখ্যাত:
আবহাওয়া:
এই কারণেই যখন এই গ্রামটি বছরের ৪ সপ্তাহের জন্য দৃশ্যমান হয়, তখন এই গ্রামের বাসিন্দারা তাদের পুরনো বাড়িগুলি দেখতে এখানে আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এর গল্প পর্যটকদের মধ্যেও বিখ্যাত হয়ে ওঠে এবং এটি একটি বিখ্যাত পর্যটন স্পট হয়ে ওঠে। প্রতি বছর গরম কালে যখন এই গ্রামগুলি আসে, লোকেরা অবশ্যই কুর্দি গ্রামে যায়।
১৮ শতকের সোমেশ্বর মন্দির রয়েছে :
এই সময়ে, ১৮ শতকের সোমেশ্বর মন্দিরের পাশাপাশি একটি প্রাচীন গির্জা দেখতে পারা যায়। শুধু এই গ্রাম নয়, সালাউলিম বাঁধও দেখার মতো। এটি গোয়ার সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট জলাধার। এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এখানে জল বেশি হয়ে গেলে একটি গর্ত দিয়ে নিচে চলে যায়। বর্ষায় দেখলে মনে হয় জলের মাঝখানে ফাঁক হয়ে গেছে।
পানাজি থেকে এই গ্রাম প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
No comments:
Post a Comment