এদেশের নদীতে রয়েছে সোনা
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১২ মে : বিশ্বের প্রতিটি দেশেই সোনার চাহিদা রয়েছে। সোনা এমন একটি ধাতু যা দিয়ে আমরা অলঙ্কার তৈরি করে থাকি। বর্তমানে এক টুকরো সোনার দাম হাজার হাজার টাকা। আজ আমরা এমন একটি দেশের কথা জেনে নেব যেখানে সোনার দ্বীপ রয়েছে এবং নদীতে সোনা বয়ে যায়। কথাটা শুনে অবাক লাগলেও, এটা একেবারেই সত্যি। কোন জায়গা সেটি চলুন জেনে নেই-
ইন্দোনেশিয়ার একটি নদীতে একটি সোনার দ্বীপ ফুটে উঠেছে। এখান থেকে লোকজন নদীতে সোনার অলঙ্কার, আংটি, বৌদ্ধ মূর্তি ও মূল্যবান চীনামাটির বাসন পাচ্ছে। বলা হচ্ছে, বছরের পর বছর ধরে সোনার এই দ্বীপের খোঁজ চলছিল। বলা হচ্ছে, বহু বছর আগে নিখোঁজ হওয়া এই সোনার দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়ার পালেমবাং প্রদেশের মুসি নদীতে পাওয়া গেছে। মানুষযে এই নদীর খাট থেকে সোনার অলঙ্কার এবং আরও অনেক মূল্যবান জিনিস খুঁজে পেয়েছে। তথ্যমতে, গত ৫ বছর ধরে জেলেরা মুশি নদীতে গুপ্তধনের সন্ধান করলেও এখন নদীর গভীরে অনেক পরিশ্রমের পর অমূল্য সোনার গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছেন এক জেলে।
ডুবুরিরা এই নদীর তলদেশ থেকে ক্রমাগত সোনার অলঙ্কার, মন্দিরের ঘণ্টা, সরঞ্জাম, মুদ্রা, সিরামিকের পাত্র এবং বৌদ্ধ মূর্তি উত্তোলন করছে। বলা হচ্ছে, ডুবুরিরা এ পর্যন্ত নদী থেকে একটি সোনার তলোয়ার, সোনা ও রুবির তৈরি একটি আংটি, একটি খোদাই করা বয়াম, একটি মদের জগ এবং একটি ময়ূর আকৃতির বাঁশি উদ্ধার করেছে। এই দ্বীপ নিয়ে ইন্দোনেশিয়াতেও অনেক লোককাহিনী প্রচলিত আছে।
ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় লোককাহিনী অনুসারে, এমন সাপ আছে যারা মানুষকে খায়। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত অব্যাহত রয়েছে। শুধু তাই নয়, হিন্দিভাষী তোতাপাখিও এখানে বাস করে বলে বিশ্বাস করে। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ার প্রাচীন ইতিহাসে 'স্বর্ণের দ্বীপ' নামে পরিচিত এই স্থানটিকে শ্রীবিজয়া শহর বলা হতো। তখনকার দিনে এটি ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী শহর। কথিত আছে, মালাক্কা উপসাগরে রাজাদের রাজ্য ছিল। চোল সাম্রাজ্যের সাথে যুদ্ধে শহরটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এরপর আর এই শহরের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। এই কারণে এই শহরে বর্তমান সোনা, রৌপ্য এবং হীরা রত্নগুচ্ছ সমাহিত হয়।
ঐতিহাসিকরা বলেন, মুশি নদীর তলদেশে হয়তো সোনায় ভরা কোনো রাজ্য ছিল। একই সঙ্গে সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক শন কিংসলে বলেন, শ্রীবিজয়া শহরটি খুঁজে বের করার জন্য আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো খনন কাজ করা হয়নি। যা কিছু গয়না বা মূল্যবান জিনিস এখনও নদী থেকে ভেসে আসছে, ডুবুরিরা সেগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত বেসরকারি ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করেছে। এর মানে হল যে এখনও একটি পুরনো শহর থাকতে পারে। কিন্তু সত্য প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি প্রকাশ পাবে না।
No comments:
Post a Comment