হাত ধোয়ার সঠিক উপায়
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৭ মে : খাবার খাওয়ার আগে একবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এই অভ্যাসটা আমরা ছোটবেলা থেকেই করে আসছি। কিন্তু কাজের জন্য, ব্যস্ত জীবনে আমরা এসবের যত্ন নিতে পারি না। অফিসে একদিকে কম্পিউটারে আঙুল নাড়াচাড়া করে, অন্যদিকে একই হাতে স্ন্যাকস খাওয়া।এই সময় ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। চলুন জেনে নেই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কতবার হাত ধোয়া উচিৎ -
কতবার হাত ধোয়া উচিৎ :
হাত ধোয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয় না। এতে ফ্লু এবং ফুড পয়জনিং এড়ানো যায়। গড়ে একজন মানুষকে প্রতিদিন ৮-১০ বার হাত ধোয়া উচিৎ। এটি খাবার খাওয়ার আগে এবং টয়লেটে যাওয়ার পরে প্রয়োজনীয়। যারা রান্না করেন, ছোট বাচ্চাদের যত্ন নেন তাদের অন্যদের থেকে বেশি হাত ধোয়া দরকার। আবার অফিসে কর্মরতদের তুলনায়, কারখানার শ্রমিকদের বেশি হাত ধুতে হয়। হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও চিকিৎসকদের দিনে কয়েকবার হাত ধুতে হয়।
কীভাবে হাত ধোয়া উচিৎ :
ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা মনে হলেই বা এমন জিনিসগুলি স্পর্শ করলে হাত ধোয়া উচিৎ। তবে কীভাবে হাত ধোবেন তাও গুরুত্বপূর্ণ? যদি হাত সঠিকভাবে না ধোয়া হয় তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে হাত ধোয়ার জন্য মাটি ও ছাই ব্যবহার করা হত। তখন সাবান ও তরল সাবানের প্রবণতা ছিল না। এখন স্যানিটাইজার এবং টিস্যু হ্যান্ডওয়াশের একটি প্রবণতা রয়েছে। ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য হাত ধোয়াই যথেষ্ট। এটি হাতকে জীবাণুমুক্ত করে। জার্নাল অফ ফুড প্রোটেকশনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ সেকেন্ড গরম জলে হাত রাখলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মরে যায়।
অনেকেই লোশন বা লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করেন। এর ব্যবহারে হাত ময়েশ্চারাইজ হয়। শুষ্ক ত্বক আরাম পায়। এই সত্ত্বেও, ব্যাকটেরিয়া হাতে থেকে যায়। সবচেয়ে ভালো উপায় হল সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ব্যবহৃত সাবান অন্য কোনও কাজে ব্যবহার না করা হয়। কাদা বা ছাই দিয়ে হাত ধোয়া উচৎ নয়। জীবাণু মাটিতে লুকিয়ে থাকে যা হাত লেগে যায়। তাই মলত্যাগের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া প্রয়োজন।
হাত ধোয়া যতটা জরুরী, ঠিক ততটাই জরুরী তা শুকনো। ব্যাকটেরিয়া ভেজা হাতে বেঁচে থাকতে পারে। আজকাল হট এয়ার হ্যান্ড ড্রায়ার এবং কাপড়ের রোলার তোয়ালের ব্যবহার বেড়েছে কিন্তু এগুলো বাড়িতে ব্যবহৃত তোয়ালের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর নয়। এয়ার হ্যান্ড ড্রায়ারে ধুলো এবং ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকে। এগুলো ব্যবহার করলে এই ধুলো এবং ব্যাকটেরিয়া বাতাসে ভাসতে শুরু করে। তারপর এগুলো শ্বাসের মাধ্যমে আমাদের ফুসফুসে যায়। তাই শুকনো তোয়ালে দিয়ে হাত মোছাই ভালো।
No comments:
Post a Comment