সংক্রমণ এড়াতে প্যাড পরিবর্তনের আসল সময় কোনটি?

সংক্রমণ এড়াতে প্যাড পরিবর্তনের আসল সময় কোনটি?

ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২৫ এপ্রিল : পিরিয়ড এমন একটি সমস্যা যার মধ্য দিয়ে প্রত্যেক মহিলাকেই  যেতে হয়।  এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।  পিরিয়ডের দিনগুলো প্রত্যেক মহিলাদের জন্য খুবই কষ্টকর।এই পিরিয়ডের সময় অনেক সমস্যা থাকে যেমন প্রচণ্ড প্রবাহ, ব্যথা হওয়া। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধিরও অনেক যত্ন নিতে হয় এই সময়।

 একটু অসাবধানতা সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।  সময়ে সময়ে তাই প্যাড পরিবর্তন করতে হবে।  অনেক মহিলা প্রবাহ অনুযায়ী প্যাড পরিবর্তন করে। অনেক মহিলা অনেক ঘন্টা ধরে একই প্যাড লাগিয়ে রাখেন।  অনেকে কখন প্যাড পরিবর্তন করবেন তা নিয়ে বিভ্রান্ত থাকেন। চলুন তবে জেনে নেই প্যাড পরিবর্তন করার সঠিক সময় -

 প্যাড পরিবর্তনের সময়:

বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাস্থ্যবিধির যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।  অন্যথায় সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা প্যাড পরিবর্তন করা প্রয়োজন।  এমনকি যদি কোন ভারী রক্তপাত না হয়, প্যাডটি কমপক্ষে ৬ ঘন্টার মধ্যে পরিবর্তন করতে হবে।  দীর্ঘক্ষন ধরে জমে থাকা রক্ত ​​ত্বকে সমস্যা তৈরী করতে পারে আবার অনেক সময় এই প্যাড ব্যবহার করলেও ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে।তাই প্যাডটি পূর্ণ হওয়ার আগেই পরিবর্তন করুন।

 পিরিয়ডের রক্ত ​​শরীর থেকে বের হয়ে গেলে তা দূষিত হয়ে যায়,  রক্ত ​​প্রবাহ কমে গেলেও এর যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।  দূষিত পদার্থ তাদের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে প্যাডটিও ভেজা ও দূষিত হয়ে যায়।এক্ষেত্রে একই প্যাড দীর্ঘক্ষন ব্যবহার করলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

 প্যাড পরিবর্তন না করার কারণে এই সমস্যা হতে পারে:

 দীর্ঘ সময় ধরে প্যাড পরিবর্তন করলে গোপনাঙ্গে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, ফুসকুড়ির মতো সমস্যা হতে পারে।  সেই সঙ্গে UTI-এর ঝুঁকিও বাড়তে পারে।  এটি দুর্গন্ধও সৃষ্টি করতে পারে।  বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ প্যাড পরিবর্তন করলেও সার্ভিকাল ক্যান্সার হতে পারে।  

  ভুল উপায়:

 পিরিয়ডের সময়, রক্তপাত বেশি হলে, অনেক মহিলা দুটি স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাড এবং এক টুকরো কাপড় একসাথে ব্যবহার করেন।  যদিও এই পদ্ধতি ভারী রক্তপাত এড়াতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হতে পারে।  কিন্তু এটি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়।  ব্যবহৃত স্যানিটেশন পদ্ধতির কারণে, প্যাড পরিবর্তনের সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।  এ কারণে গোপনাঙ্গে সংক্রমণ ও ফুসকুড়ি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।