গরুড়কে সকল পাখির মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। গরুড় পুরাণ ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। এখানে পাপ-পুণ্যের পাশাপাশি মৃত্যু ও মৃত্যুর পরের ঘটনাগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভগবান বিষ্ণুর বাহন গরুড় কীভাবে পাখিদের রাজা হলেন? চলুন জেনে নেই-
ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, গরুড়ের মায়ের নাম ছিল বিনীতা ইনি প্রজাপতি কাশ্যপের স্ত্রী। গরুড় ছিলেন একটি বিশাল, শক্তিশালী এবং তার সংকল্প পরিপূর্ণ পাখি, যিনি ভগবান বিষ্ণুর কাছ থেকে অমৃত পেয়েছিলেন। কথিত আছে যে গরুড় অমৃতের পাত্রটি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন যা দেবতারা স্বর্গে যুদ্ধের পরে অসুরদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। কারণ এর মাধ্যমে তিনি তার মাকে সাপের দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
কদ্রুই প্রস্তাব দেন, তাঁর ছেলেদের জন্য অমৃত আনলে গরুড়ের মা দাসত্ব থেকে মুক্তি পাবে। এর জন্য গরুড় স্বর্গে পৌঁছে দেবতাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে অমৃত নিয়ে আসেন। তখনই পথে বিষ্ণু গরুড়কে তাঁর মুখ থেকে অমৃতের পাত্র নিয়ে যেতে দেখলেন। ভগবান বিষ্ণু দেখেন পাত্রটি কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও গরুড়ের অমৃত পান করার লোভ নেই। কিন্তু সে নিজেও অমৃত পান না করে কোথাও সেই অমৃত নিয়ে যাচ্ছে।
এটা দেখে ভগবান বিষ্ণু খুব খুশি হন। তিনি গরুড়কে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করেন। গরুড় সব খুলে বলেন। ভগবান বিষ্ণু খুশি হয়ে গরুড়কে বর দিলেন। এর পরে গরুড়ও ভগবান বিষ্ণুকে কিছু চাইতে বললেন, তখন ভগবান বিষ্ণু গরুড়কে তাঁর বাহন হতে বললেন। সেই থেকে গরুড় হল ভগবান বিষ্ণুর বাহন।
অতঃপর সকল দেবতারা অমৃত ফিরে পাওয়ার পরিকল্পনা করলে, দেবতারা গরুড়কে বলেন, সাপেরা আর তাঁর আর তাঁর মাকে আঘাত করতে পারবে না। এরপর গরুড় দেবতাদের অমৃতের পাত্র ফিরিয়ে দেন।
No comments:
Post a Comment