আমরা অনেক সময় বলে থাকি সামান্যতম কথাটি। হিন্দিতে এই সামান্যতমকে রত্তিভর বলে।
আবার সোনা বা রুপা মাপতে রতি ব্যবহার করা হয়। এই কথাটি কোথা থেকে এলো? আসলে রতি হল একটি উদ্ভিদ। এই গাছে পাতা এবং ফল হয়। এই গাছটি সাধারণত গুঞ্জা নামে পরিচিত। সাধারণত, এই গাছটি বন থেকে পাহাড়ি এলাকায় সহজেই জন্মায়। চলুন এই উদ্ভিদ এবং বাগধারাটির মধ্যে সংযোগ কী? জেনে নেই-
রতি গাছে বিশেষ ধরনের বীজ থাকে যার বাইরে মটরের মতো খোসা থাকে। খোসার ভেতরে ছোট ছোট কালো ও লাল রঙের দানা থাকে যেগুলোকে রতি বীজ বলে। পাকার পর বাতাসের কারণে রতির বীজ গাছ থেকে ভেঙে মাটিতে পড়তে থাকে। এই বীজ পাহাড়ি এলাকায় পাওয়া যায়।
প্রাচীনকালে সোনা ও রূপার ওজন বা পরিমাপের জন্য রতির বীজ ব্যবহার করা হতো। তারপর যে সংখ্যক রতি বীজে সোনা বা রৌপ্য ওজন করা হত, তাদের নাম দেওয়া হয়েছিল পাঁচ রতি সোনা বা নয় রতি রৌপ্য।
এই বীজগুলি রত্ন পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হত, অন্যদিকে, এর পাতাগুলিও ওষুধের জন্য ব্যবহৃত হত। রতির বীজ চিবিয়ে খেলে মুখের ঘা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রতি বীজ এমন বীজ, যার ওজন বাড়ায় না। এই বীজগুলো ১০ বছর পরেও যদি ওজন করেন তখনও তাদের ওজন আগের মতোই থাকবে। তবে তাদের ওজন অনেক কম। সম্ভবত এই কারণেই প্রাচীনকালে লোকেরা এই বীজের উপর অর্থ ভরা প্রবাদ তৈরি করেছিল, যা আজ পর্যন্ত ব্যবহৃত হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment