ভাজা ছোলায় প্রোটিন, আর্দ্রতা, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন এটি খেলে শরীরে উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ ব্যাপার হল সকালের নাস্তায় ভাজা ছোলার সঙ্গে গুড় বা মধু খেলে তা শুধু আপনার স্বাস্থ্যকেই মজবুত করবে না, অনেক রোগ থেকেও দূরে রাখবে। তাই একজন সুস্থ মানুষের ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম ভাজা ছোলা খাওয়া উচিত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়: ভাজা ছোলা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যেহেতু ভাজা ছোলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভাজা ছোলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ওজন কমানোর সাহায্য: ভাজা ছোলা খেলে ওজনও কমে, কারণ ছোলায় আঁশের পরিমাণ বেশি থাকে, যার কারণে শরীরের হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে। তা ছাড়া ছোলা খেলে শরীরে শক্তি বজায় থাকে, যার কারণে ক্ষুধা লাগে না। এমন পরিস্থিতিতে ভাজা ছোলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন: শীতের মৌসুমে প্রায়ই খাওয়া-দাওয়া বেশি হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও এই মৌসুমে বেড়ে যায়। শীতের মৌসুমে ভাজা ছোলা খেলে পেট সংক্রান্ত সমস্যাও চলে যায়। কারণ এটি হজমে উপকারী।
রক্তে শর্করার রোগীদের জন্য উপকারী: যাদের রক্তে শর্করার সমস্যা আছে তাদের জন্যও ভাজা ছোলা উপকারী। আপনি যদি সকালে ভাজা ছোলা খান তবে রক্তে শর্করার সমস্যাযুক্ত রোগীদের জন্য এটি উপকারী। তাই এই ধরনের রোগীদের ভাজা ছোলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী: ভুনা ছোলা খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। যেহেতু রোস্টেড ছানা একটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খাদ্য আইটেম, এটি সমস্ত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল। কারণ অন্যান্য খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে, কিন্তু ছোলার জিআই মাত্রা মাত্র ২৮ তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
No comments:
Post a Comment