ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: পেয়ারায় উপস্থিত ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। খোসার সঙ্গে পেয়ারা খাওয়াও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় আরও জানা গেছে যে পেয়ারা পাতার নির্যাস টাইপ 2 ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিহাইপারগ্লাইসেমিক প্রভাব থাকতে পারে, যা রক্তে শর্করাকে কমাতে কাজ করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান: পেয়ারাকে ভিটামিন সি-এর সর্বোত্তম উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভিটামিন সি-এর ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। পেয়ারার রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপকারিতা যা খারাপ ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দূর করতে কাজ করে। এটি ঠান্ডা এবং ফ্লুর লক্ষণগুলিও কমাতে পারে।
ক্যান্সারে উপকারী: পেয়ারা পাতার নির্যাসকে অ্যান্টিকার্সিনোজেনিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। পেয়ারা পাতা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করতে পারে। পেয়ারায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতিকারক ক্যান্সার কোষ বন্ধ করতে কাজ করে। পেয়ারা পাতার তেলে অনেক ক্যান্সারের ওষুধও মেশানো হয়, যা চারগুণ দ্রুত ক্যান্সারের বিকাশ বন্ধ করতে পারে।
ওজন কমাতে কার্যকর: পেয়ারাকে ওজন কমানোর উপযোগী খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একটি পেয়ারায় ৩৭ ক্যালোরি এবং ১২ শতাংশ ফাইবার থাকে। এটি একটি কম-ক্যালোরি খাবার যা ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় পেয়ারা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে পারে।
পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়: পেয়ারা ডায়েটারি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। পেয়ারায় রয়েছে ১২ শতাংশ ফাইবার যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এছাড়াও হজমের সমস্যা উন্নত করতে পারে। পেয়ারা খেলে অনেক বড় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি বিশেষ করে ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment