ডার্ক ওয়েব। এখানে এমন সব অবৈধ কাজ করা হয় যা ওপেন ওয়েবে করা যায় না। আসলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা সমস্ত অবৈধ কাজ শুধুমাত্র ডার্ক ওয়েবে করা হয়। ডার্ক ওয়েবের ওপর কোন নিয়ন্ত্রণ বা নিষেধাজ্ঞা নেই। এটি বেশিরভাগ হ্যাকার, প্রতারক বা অবৈধভাবে কাজ করা লোকেরা ব্যবহার করে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন আসে যে, পুলিশ কেন এই অপরাধীদের সহজে ধরতে পারে না? আসুন জেনে নেই বিস্তারিত -
এতে সংঘটিত যে কোনও অপরাধের সন্ধান করা খুব কঠিন। সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও ডার্কনেটে পর্নোগ্রাফি, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি, সেক্সটর্শন এবং ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়। এমনকি এর মাধ্যমে অস্ত্রও সরবরাহ করা হয়। মাদক চোরাচালান ও মানব পাচারের পথও তৈরি হয় এখান থেকেই।
এখানে অনেক ওয়েবসাইট আছে যার মাধ্যমে সাইবার অপরাধ সংঘটিত হয়। লোলিটা সিটি এবং প্লে পেইনের মতো ডার্কনেট ওয়েবসাইটগুলিতে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি সামগ্রী পোস্ট করা হয়। ক্রিপ্টো কারেন্সি, জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং জাল পাসপোর্টের ব্যবসাও চলে ডার্ক ওয়েবে। অনেক ডার্কনেট ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে সেক্স র্যাকেট চলে।
পুলিশ ধরতে পারছে না কেন:
যারা ডার্কনেটে সক্রিয় তারা কোথা থেকে এই ধরনের ওয়েবসাইট পরিচালনা করে তা জানা যায়নি। সাইবার বিশেষজ্ঞদের এমন ঠিকানা খুঁজে বের করতে হবে, যার অভাব রয়েছে প্রতিটি বিভাগে। প্রশিক্ষণ, তথ্য আদান-প্রদান এবং নতুন ফরেনসিক ল্যাবের অভাবের কারণে অপরাধীদের খুঁজে বের করাও পুলিশের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে।
ডার্কনেটে শুধু অপরাধ সংঘটিত হয় না, এমন পরিস্থিতিতে এখানকার প্রতিটি কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখাও খুবই চ্যালেঞ্জিং। ট্রেসিং করলেও জানা যায়, ডার্কনেট পরিচালনাকারী চক্রটি বিদেশে কোথাও বসে আছে। সে কারণেই গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ডার্ক ওয়েবে চলা অপরাধ বন্ধ করা একটি জটিল কাজ।
No comments:
Post a Comment