তিলক বা ফোঁটা লাগানো অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। কপালে তিলক না লাগিয়ে কোনও শুভ কাজ, পূজো, আচার বা যজ্ঞ করা অশুভ। তিলক লাগালে মন একাগ্র হয় এবং এটি ধ্যানে সাহায্য করে। ভগবান বিষ্ণু দ্রুত প্রসন্ন হন এই তিলক লাগালে। চলুন জেনে নেই বৈষ্ণব তিলকের গুরুত্ব-
তিলকের প্রকারভেদ ও গুরুত্ব:
বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভিন্ন ধরণের তিলক প্রয়োগ করা হয়। ৮০টিরও বেশি প্রকারের তিলক রয়েছে। এর মধ্যে বৈষ্ণব সাধুদের ৬৪ ধরনের তিলক প্রয়োগ করা হয়। আর শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, ব্রহ্ম এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের তিলক রয়েছে। আর সাধু, সম্প্রদায় এবং সম্প্রদায়ের নিজস্ব তিলক রয়েছে।
বৈষ্ণব তিলক কি:
ভগবান বিষ্ণুর অনুসারীরা এই তিলক লাগান। এর সাথে যে ভক্তরা ভগবান কৃষ্ণ, ভগবান রাম, ভগবান নর সিং এবং বিষ্ণুর অবতার বামন দেবের উপাসনা করেন তারাও বৈষ্ণব তিলক করেন। ভগবান বিষ্ণুর তিলক হওয়ার কারণে একে 'বৈষ্ণব তিলক' বলা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই তিলক লাগালে ভগবান বিষ্ণু দ্রুত প্রসন্ন হন।
পদ্ধতি :
বৈষ্ণব তিলক একটি উল্টানো ত্রিভুজ আকারে কপালে লাগানো হয়। সহজ কথায়, এটি ইংরেজি বর্ণমালার ভি আকারে লাগানো হয়। এটি নাকের মাঝখানে থেকে কপাল পর্যন্ত লাগানো হয়ে থাকে।
উপকারিতা:
যারা বৈষ্ণব তিলক করেন তাদের উপর ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ থাকে এবং শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদও প্রাপ্ত হয়।
এই তিলক লাগালে মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার যোগাযোগ হয় এবং নেতিবাচকতা দূর হয়।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বৈষ্ণব তিলক লাগালে বুদ্ধি প্রখর হয়।
শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে বৈষ্ণব তিলক লাগালে ১০০০ অশ্বমেধ এবং ১০,০০০ রাজসূয় যজ্ঞ করার সমান ফল পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment