পরিবর্তনশীল ঋতুর সাথে আমাদের মেজাজ পরিবর্তিত হয় এবং একে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার বলি। এই মেজাজ পরিবর্তিত হওয়ায় অফিসে যেতে ভালো লাগে না, ঘরের কোনও কাজ করতে ভালো লাগে না। শীতকালে বারবার মেজাজের পরিবর্তন কেন হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক -
সূর্যালোক এবং মেজাজ পরিবর্তনের মধ্যে সংযোগ :
চিকিৎসক বিশেষজ্ঞের মতে, জৈবিকভাবে বিষণ্নতা এবং সূর্যালোকের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। শীতকালে, সূর্যালোকের সময়কাল এবং তীব্রতা দুটোই হ্রাস পায়। সেরোটোনিন আমাদের মস্তিষ্কের একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে, এটির জন্য প্রচুর সূর্যালোক এক্সপোজার প্রয়োজন।
শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকলে মস্তিষ্ক বুঝতে পারে না কোথা থেকে সেরোটোনিন উৎপন্ন হবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের মেজাজে পড়ে। এর কারণে আমাদের ঘুম হয় না, জাঙ্ক ফুড খেতে ইচ্ছে করে, ওজন বাড়ে এবং অকারণে মন খারাপ হয়ে যায়।
হালকা থেরাপি দরকার :
তথ্য অনুযায়ী, মস্তিষ্কে আলোর একটি ডোজ দেওয়া যেতে পারে। একে লাইট থেরাপি বলা হয়। এটি বাজারে বা অনলাইনে কেনা যায়। হালকা থেরাপি নিতে, আলোর তীব্রতা হবে ১০,০০০ লাক্সের উপরে হওয়া উচিৎ। হালকা থেরাপিতে প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য হালকা থেরাপির একটি সেশন নিতে হবে।
মেজাজ বেশি খারাপ হলে দিনে ২ বার সামনে বসুন। সকালে এক ঘন্টা এবং সন্ধ্যায় এক ঘন্টা।
No comments:
Post a Comment