পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার পরিবর্তনও এর জন্য দায়ী। গত কয়েক দশক ধরে, বিজ্ঞানীরা পৃথিবীতে ক্রমবর্ধমান তাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই তাপ বৃদ্ধি মানুষের কর্মকাণ্ডের জন্য অনেকাংশে দায়ী।
এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনে কোনও জীবের এই ধরায় থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
গ্রিনহাউজ গ্যাস:
বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত তাদের গবেষণায় পেয়েছেন যে গ্রিনহাউস গ্যাস বিশেষ করে কার্বন ডাই অক্সাইড জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। এটি উৎপন্ন হয় জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানো হলে। ৩০ বছরেরও বেশী গবেষণায় প্রতিটি রিপোর্টে একটিই কারণ বেরিয়ে এসেছে আর তা হল বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি।
মানুষের ভূমিকা:
বিজ্ঞানীরা আরও বেশি করে নিশ্চিত হয়ে উঠছেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানুষের ক্রিয়াকলাপ প্রাথমিকভাবে দায়ী। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের প্রভাবে বায়ুমণ্ডল, মহাসাগর ও পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে।
কার্বন ডাই অক্সাইডের ভূমিকা:
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে সূর্য সাধারণত প্রতি বর্গ মিটার প্রতি ১৩৬১ ওয়াট তাপ নির্গত করে, যা পৃথিবীতে জীবনের জন্য একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখে। ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি অনুসারে, জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন কার্বন ডাই অক্সাইড এখন প্রতি বর্গমিটার তাপ ২.০৭ ওয়াট শোষণ করছে।
সূর্য কি দায়ী নয়?
পৃথিবীতে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ে ভূমিকায় সূর্যের কোনও ভূমিকা নেই।
No comments:
Post a Comment