অনেকেরই নাকে আঙুল দেওয়ার অভ্যাস আছে। কিন্তু এই অভ্যাস অ্যালঝাইমার এবং ডিমেনশিয়ার মতো বিপজ্জনক রোগের কারণে হতে পারে। গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বিষয়টি সামনে এসেছে। ইঁদুরের ওপর এই গবেষণা করা হয়। আসলে এই ঘ্রাণজনিত নার্ভ সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। আমরা নাকে আঙুল দিলে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া এই ঘ্রাণজনিত স্নায়ুর মাধ্যমে সরাসরি মস্তিষ্কের কোষে পৌঁছায়। যা মস্তিষ্কের রোগ সৃষ্টি করে। কীভাবে এই রোগ হতে পারে জেনে নেওয়া যাক-
ডিমেনশিয়া এবং আলঝাইমার:
ডিমেনশিয়া একটি স্নায়বিক ব্যাধি। এতে মস্তিষ্কের স্নায়ু সংকুচিত হতে থাকে এবং কোষগুলো ধ্বংস হতে থাকে। এতে মস্তিষ্কের কোষ কম সক্রিয় হয়।
ডিমেনশিয়ায় মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস অংশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এ কারণে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। আলঝেইমার হল ডিমেনশিয়ার একটি রূপ।
আলঝেইমারের কারণ?
ক্ল্যামাইডিয়া নিউমোনিয়া নামক একটি ব্যাকটেরিয়া অ্যালঝাইমারের মতো বিপজ্জনক রোগ সৃষ্টি করে। এটি নাক থেকে ঘ্রাণজনিত স্নায়ুর মাধ্যমে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রে প্রবেশ করতে পারে এবং তারপরে মস্তিষ্কের রোগের কারণ হতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস মস্তিষ্কে অ্যামাইলয়েড বিটা প্রোটিন তৈরি করে। যা আলঝেইমার এবং ডিমেনশিয়া সৃষ্টি করে।
ডিমেনশিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ:
জিনিস ভুলে গিয়ে তারপর আবার জিজ্ঞাসা করা
জায়গা এবং মানুষের নাম ভুলে যাওয়া।
জিনিসপত্র কোথাও রেখে ভুলে যাওয়া।
নতুন জিনিস শিখতে অসুবিধা।
আলঝেইমারের মধ্যম পর্যায়ের লক্ষণ:
নিদ্রাহীনতা এবং মস্তিষ্কে ভারী ভাব।
দেখতে, শুনতে এবং গন্ধে সমস্যা।
প্রতিরোধ করার উপায় :
আলঝেইমার প্রতিরোধ করতে নাকে আঙুল দেওয়া, ধূমপানকরা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। মনকে শক্তিশালী করতে মস্তিষ্কের ব্যায়াম করা প্রয়োজন। মস্তিষ্কের ব্যায়ামের মধ্যে , দাবা, শব্দ ধরার মতো গেম খেলতে পারেন। এর সাথে সবুজ শাকসবজি, ফলমূল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জিনিস খেতে হবে।
No comments:
Post a Comment