উত্তরপ্রদেশের আমেথি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সংগ্রামপুরে একটি প্রাচীন মন্দির রয়েছে। এটি কালিকান ধাম মন্দির নামে পরিচিত। এখানে মায়ের দর্শন করলেই ভক্তদের প্রতিটি মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয় বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, এখানকার জঙ্গলে চ্যবন মুনির আশ্রম ছিল। বহু যুগ আগে যখন চ্যবন মুনি তপস্যায় মগ্ন ছিলেন। অতঃপর উইপোকা তাঁর গায়ে বাড়ী বানায়।
এ সময় অযোধ্যার রাজা সরয়াজ সমগ্র সৈন্যবাহিনী ও পরিবার নিয়ে চ্যবন মুনির দর্শনের জন্য আশ্রমে যান। রাজার কন্যা সুকন্যা তার সখীদের নিয়ে আশ্রম পরিদর্শন করতে বেরোন। অতঃপর তিনি ওই উইপোকার ওই বাড়ী থেকে দু’টি গর্ত জ্বলতে দেখেন। তখন রাজকুমারী কৌতূহলবশত ওই গর্তে খোঁচা মারেন। আর সেখানে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত বের হতে দেখে রাজকন্যা পালিয়ে যান। আর সে সময় চ্যবন মুনির ধ্যান ভঙ্গ হলে তিনি অভিশাপ দেন।
যার ফলে রাজার সৈন্যদের মধ্যে মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। রাজা পুরো বাস্তবতা জানতে পেরে চ্যবন মুনির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সমস্ত ঋষিরা সিদ্ধান্ত নিলেন যে চ্যবন মুনির সেবা করার জন্য রাজাকে তার রাজকন্যা সুকন্যাকে ত্যাগ করতে হবে। রাজাও তাই করলেন, তার পরে তাঁর সমস্ত প্রজা এবং সৈন্যরা মহামারী থেকে নিরাময় হল। চ্যবন মুনির চক্ষু নিরাময়ের জন্য অশ্বিনী কুমারকে ডাকা হয়। যিনি একটি কুন্ড প্রতিষ্ঠা করেন। সেই কুন্ডে চ্যবন মুনিকে স্নান করে চোখের দৃষ্টি ও যৌবন ফিরে পান। এই কুন্ড রক্ষা করতে ব্রহ্মা দেবীমাকে ডাকেন। সেই থেকে মা দেবী আদিশক্তি এখানে এসে বসেন আর মায়ের দরবারে আসলে সকল ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হয়।
এই মন্দিরে প্রয়াত রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা ভাদ্রা, রাহুল গান্ধী, স্মৃতি ইরানিও কালিকান ধাম মন্দিরে মাথা নত করে গেছেন।
No comments:
Post a Comment