সুস্থ থাকার জন্য অনেক ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টির প্রয়োজন। শরীরে পুষ্টির যোগানের জন্য আমাদের খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কখনও কখনও নির্দিষ্ট পুষ্টির ঘাটতি স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে পরিচালিত করে। এই পুষ্টি বা ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীরে এদের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। ভিটামিন বি 6 একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি 6 কে একটি প্যারাডক্সও বলা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন বি৬-এর অভাব ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
ভিটামিন বি 6 এর উপকারিতা:
ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে: শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন 6 ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, তাই এটি শরীরকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: ভিটামিন B6 হৃদরোগের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি রক্তে হোমোসিস্টাইনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। হোমোসাইটনের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি৬ থাকায় আঠালো পদার্থ রক্তের ধমনীতে জমে না। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
মহিলাদের জন্য অপরিহার্য:
ভিটামিন B6 মহিলাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরে সঠিক পরিমাণে থাকলে পিরিয়ডের আগে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন B6 গর্ভবতী মহিলাদের বমি বমি ভাবের সমস্যা কমায়।
ভিটামিন বি 6 এর অভাবের লক্ষণ:
ক্লান্তি এবং অলসতা, চুল পরা, শুষ্ক ত্বক এবং ফাটা ঠোঁট। মুখ ফুলে যাওয়া।
ভিটামিন বি 6 সরবরাহ করতে কী খাবেন:
ভিটামিন B6 এর ঘাটতি পূরণ করতে, আপনার খাদ্যতালিকায় গম, বাজরা, বার্লি, ভুট্টা, মটর ইত্যাদির মতো গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করুন। এছাড়া আখরোট, মটরশুটি, কলা, বাঁধাকপি, সয়াবিন, গাজর এবং সবুজ শাকসবজিতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ রয়েছে। আপনি যদি নন-ভেজ খান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় মাছ, ডিম, চিকেন, মাটন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment