দেখতে গোলাকার, স্বাদে খাস্তা, লাল এবং কমলা রঙের জিলেপি। এটি বিভিন্ন রাজ্যে খাওয়া হয়, কোথাও বড় বা ছোট। কিন্তু কোথা থেকে জিলেপি এলো, এর ইতিহাস কী জেনে নেওয়া যাক -
জিলেপি তৈরির পদ্ধতি ও স্বাদ প্রায় একই। কিন্তু একেক জায়গায় একেক নাম এর।
জালেবা- মধ্যপ্রদেশে জিলেপিকে জালেবা বলা হয়।
ছানার জিলেপি: বাংলায় ছানার জিলেপি' বলা হয়।
ইতিহাস :
জিলেপির ইতিহাস প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো।
তুর্কিদের সঙ্গে দেশে আসে জিলেপি। এ সময় নাম, তৈরির পদ্ধতি ও স্বাদে অনেক পরিবর্তন আসে। হবসন-জবসনের মতে, জিলেপি শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ 'জালাবিয়া' বা ফারসি শব্দ 'জালিবিয়া' থেকে। মধ্যযুগীয় গ্রন্থ 'কিতাব-আল-তাবীক'-এ 'জালাবিয়া' নামের একটি মিষ্টির বর্ণনা রয়েছে। যা পশ্চিম এশিয়া থেকে উদ্ভূত একটি শব্দ।
ইরানেও জিলেপি পাওয়া যায়। এখানে একে 'জুলাবিয়া বা জুলুবিয়া' বলা হয়। আরবি রান্নার বইয়ে 'জুলুবিয়া' বানানোর উল্লেখ আছে। একই সময়ে ১৭ শতকে 'ভোজনকুতুহলা' নামে একটি বই এবং একটি সংস্কৃত গ্রন্থ 'গুণ্যাগুনবোধিনী'তেও জিলেপির সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে।
অন্যান্য অনেক দেশেও জিলেপি খাওয়া হয়। লেবাননে 'জেলাবিয়া' একটি লম্বা আকৃতির পেস্ট্রি। এটি ইরানে জুলুবিয়া, তিউনিসিয়াতে জালাবিয়া এবং আরবে জালেবি জালাবিয়া নামে পরিচিত। আফগানিস্তানে মাছের সঙ্গে জিলেপি পরিবেশন করা হয়। শ্রীলঙ্কায়ও একে 'পানি ওয়ালালু' মিষ্টি বলা হয়, এটি জিলেপির মতোই। নেপালে রয়েছে "জেরি" এটি জিলেপির একটি রূপ।
No comments:
Post a Comment