কাঁচা পেঁয়াজ হিটস্ট্রোক ও শরীরের তাপ প্রতিরোধ করে। এছাড়া কাঁচা পেঁয়াজ খেলে অনেক রোগের চিকিৎসা করা যায়। প্রায়শই মহিলারাও চুল পড়া থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা পেঁয়াজের রস ব্যবহার করেন। তবে কাঁচা পেঁয়াজ যে সব সময় উপকারী তা নয়। অনেক সময় অতিরিক্ত পেঁয়াজ খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। ষ পেঁয়াজের অত্যধিক ব্যবহার অন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং পেটের সমস্যা হতে পারে। আসুন জেনে নিই পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতি সম্পর্কে।
পেঁয়াজে পাওয়া পুষ্টি উপাদান পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন এ, সি এবং ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস রয়েছে। এ ছাড়া পেঁয়াজে প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে। পেঁয়াজে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। পেঁয়াজ এক ধরনের সুপারফুড। পেঁয়াজের উপকারিতা হার্টের জন্য উপকারী একটি রিপোর্ট অনুযায়ী পেঁয়াজে ফ্ল্যাভোনয়েডের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া পেঁয়াজের থাইও সালফাইট খেলে রক্ত সঠিকভাবে স্থিতিশীল থাকে। এটি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। পেঁয়াজ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। পেঁয়াজ ক্যান্সারে উপকারী। কাঁচা পেঁয়াজ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকর। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। এটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও বাড়ায়।
মজবুত হাড় নিয়মিত গ্রেউইং খেলে হাড় মজবুত হয়। যদিও দুগ্ধজাত পণ্য হাড়ের জন্য ব্যবহার করা হয়, তবে পেঁয়াজ খাওয়া হাড় মজবুত করতেও সাহায্য করে। পেঁয়াজেও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। চুলের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা পেঁয়াজে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধিতে উপকারী। মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস লাগালে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং মাথার ত্বককে মজবুত করে চুল ঘন, ঝলমলে ও লম্বা হয়। চুল পাকা হওয়া বা খুশকি হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা কিন্তু পেঁয়াজ খেলে চুল কালো ও খুশকি মুক্ত হয়।
পেঁয়াজ চিনির মাত্রা অনেকটাই কমাতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদেরও সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ খাওয়া উচিত, কারণ পেঁয়াজ তাদের বিরক্ত করতে পারে, যা প্রসবের সময় বেদনাদায়ক হতে পারে। পেঁয়াজের রসও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অন্ত্রের প্রভাব প্রচুর পরিমাণে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যাটি অন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যার কারণে ধীরে ধীরে পেট খারাপ হতে শুরু করে। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ব্যথা। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে। প্রচুর পরিমাণে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে পেট ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
No comments:
Post a Comment