দিল্লীতে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হতে চলেছে, কিন্তু রাজস্থানে রাজনৈতিক আলোড়ন চলছে। এই রাজনৈতিক আন্দোলন দেখে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অশোক গেহলটও কি কংগ্রেস সভাপতি পদে মাঠে নামতে চলেছেন। সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে অশোক গেহলট ২৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। গভীর রাতে গেহলট তার বিধায়কদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে আজ দিল্লীতে আসার কথা রয়েছে। দিল্লীতে এসে তিনি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন। এই বৈঠকে রাষ্ট্রপতির প্রার্থীতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও অশোক গেহলট এর আগে সভাপতি পদে প্রার্থিতা অস্বীকার করেছেন। তাই নাম নিয়েই সাসপেন্স রয়ে গেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে গভীর রাতে বিধানসভা দলের বৈঠকে গেহলট বলেছিলেন যে রাহুল গান্ধীকে সভাপতি পদে রাজি করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। প্রশ্ন হল রাহুল গান্ধী সভাপতি হতে প্রস্তুত না হলে কে হবেন কংগ্রেস সভাপতি? কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নামও আলোচিত হচ্ছে। এবিপি নিউজের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করেছেন থারুর। তবে কারো নাম নিশ্চিত করা হয়নি। বলা হচ্ছে রাহুল গান্ধী শেষ পর্যন্ত রাজি না হলে মনোনয়ন জমা দেবেন গেহলট।
কেরালার তিরুবনন্তপুরম থেকে তিনবারের সাংসদ শশী থারুর সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। এই বৈঠকের পরে বলা হয়েছিল যে থারুর দলীয় সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর কাছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি চেয়েছিলেন এবং তিনিও সম্মতি পেয়েছিলেন। এই দাবিগুলির বিষয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন যে যে কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় তার জন্য কেবল স্বাধীন নয়, স্বাগতও বটে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী বরাবরই এই অবস্থান। এটি একটি গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য কারো অনুমতি লাগে না।
কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য নির্বাচন আগামী মাসের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে, যার পরে ১৯ অক্টোবর তার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এই দিনেই স্পষ্ট হবে যে কংগ্রেসের নতুন সভাপতি কে হবেন। পার্টি রাহুল গান্ধী ক্রমাগত এই পদ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন, এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি পদের দৌড় খুব আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
No comments:
Post a Comment