শুধু ক্যালসিয়াম নয় দুধ পুষ্টির ভান্ডার

বাচ্চাদের প্রায়ই বলা হয় যে দুধ পান করলে তাদের শক্তি পাওয়া যায়। তবে এটি কেবল বাচ্চাদের মজা করার জন্য নয়। দুধ প্রকৃতপক্ষে পুষ্টির ভাণ্ডার, যা শুধুমাত্র শিশুদের জন্যই নয় বড়দের জন্যও উপকারী। দুধ একটি সম্পূর্ণ খাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। দুধে উপস্থিত ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে যে দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি 12 এবং পটাসিয়াম রয়েছে। যা অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। দুধও একটি ভালো সম্পূরক।  

দিনে রাতে গরম বা ঠান্ডা দুধ পান করলে এর উপকারিতা রয়েছে। সেই সঙ্গে দুধ সব বয়সের মানুষের জন্য উপকারী। দুধ পান করলে ঘুম ভালো হয়, দুধ পান ঘুমের জন্য উপকারী। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ পান করলে ভালো ঘুম হয়। আসলে ট্রিপটোফ্যান এবং বায়োঅ্যাকটিভ পেপটাইড দুধে পাওয়া যায়, যা ঘুমের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক চাপের কারণে অনেকের ঘুমের সমস্যা হয়।

দুধ পান করলে তাদের শরীর সব পুষ্টি পায় এবং মানসিক চাপ দূর হলে ভালো ঘুম হয়। দুধ দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে দুধ পান করলে শরীরে শক্তি আসে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। দুধ পান করলে শৈশবের স্থূলতার ঝুঁকি কমে। দুধে প্রোটিন থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের কম চর্বিযুক্ত দুধ খাওয়া উচিত।

মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক মহিলাদের উপর পরিচালিত একটি গবেষণা অনুসারে দুগ্ধজাত দ্রব্য ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। দুধ ত্বকের উপকার করে। প্রতিদিন দুধ খাওয়া মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্যও উপকারী। ভিটামিন বি 12 দুধে পাওয়া যায়, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এমন অবস্থায় নিয়মিত দুধ পান করলে ত্বক থাকে তরুণ।

দুধে পাওয়া ভিটামিন এ শরীরে নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে। এটি ত্বকের অনেক রোগের সঙ্গে লড়াই করতেও সাহায্য করে। দুধ দাঁত ও হাড়ের জন্য ভালো। দুধ পান করলে দাঁত ও হাড়ও সুস্থ থাকে। দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। হাড় এবং দাঁতে শরীরের প্রায় 99 শতাংশ ক্যালসিয়াম থাকে। দুধ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করে।