রাজ্য সভাপতি হওয়ার দৌড়ে অনেকের নাম জড়িয়েছে। তাদের মধ্যে গত তিন-চার দিনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাম উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের। সম্প্রতি জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেছেন কেশব প্রসাদ মৌর্য। এর পরে তার একটি ট্যুইট ইঙ্গিত দিয়েছিল যে তাকে রাজ্য সভাপতি করা যেতে পারে, কিন্তু এর মধ্যেই পার্টি হাইকমান্ড ভূপেন্দ্র চৌধুরীকে দিল্লিতে ডেকেছে। এর পর ফের জল্পনার বাজার সরগরম। গত কয়েকদিনের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উত্তরপ্রদেশ বিজেপির নতুন সভাপতি কে হবেন।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ইউপির ৮০ টি আসনের মধ্যে ৭৫ টি দখল করতে চায়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা যদি গত কয়েক বছরের দিকে তাকাই লোকসভা নির্বাচন হয়েছে ব্রাহ্মণদের নেতৃত্বে এবং বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে অনগ্রসর শ্রেণী থেকে তৈরি স্পিকারের নেতৃত্বে। উদাহরণস্বরূপ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেশব প্রসাদ মৌর্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ড. মহেন্দ্রনাথ পান্ডে এবং ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্রদেব সিং সংগঠনের লাগাম নিয়েছিলেন এবং একের পর এক চমকপ্রদ ফল পেয়েছে বিজেপি। তাই তাড়াহুড়ো করে কোনো ভুল করতে চায় না বিজেপি।
আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না। সে কারণেই রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণার আগেই পদক্ষেপ নিচ্ছে দলটি। লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ কে মাথায় রেখে জাত সমীকরণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিজেপি নতুন রাষ্ট্রপতির নাম নির্ধারণ করবে। উত্তর প্রদেশ বিজেপি সভাপতি স্বাধীন দেব সিং মার্চ মাসে যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল বিজেপি কাকে উত্তরপ্রদেশের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করবে।
No comments:
Post a Comment