এশিয়ার বৃহত্তম শিবলিঙ্গ গোন্ডা জেলার খরগুপুরে অবস্থিত। ভোলেবাবার এই মন্দির পৃথ্বীনাথ মন্দিরটি পান্ডুপুত্র ভীম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
কথিত আছে যে, ভীম বনবাসের সময় বকাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন, তখন ভগবান ভোলেনাথের পূজো করে প্রায়শ্চিত্ত করতে পাপ থেকে মুক্তি পেতে একটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
৫ হাজার বছরের পুরোনো এই মন্দির সম্পর্কে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জগদম্বা প্রসাদ তিওয়ারি জানান, শ্রাবন মাসে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত আসে, আর সোমবার এই ভিড় লাখে পৌঁছয়।
বলা হয় বকাসুর নামে এক রাক্ষস সে প্রতিদিন গ্রামের একজনকে খেয়ে ফেলত। একদিন এক পরিবার ভীমের কাছে আশ্রয় চাইলে, বকাসুর সেখানে হাজির হয়ে তাদের খেতে গেলে বকাসুর ও ভীমের যুদ্ধ হয়, ভীম বকাসুরকে হত্যা করেন।
বকাসুর বধের পর পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ভগবান ভোলেনাথের পূজো করে তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেন। সময়ের সাথে সাথে মহাদেবের এই মন্দিরটি ক্রমশ জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে এবং পরে ভীমের প্রতিষ্ঠিত এই শিবলিঙ্গটি ধীরে ধীরে মাটিতে মিশে যায়।
পরে খরগুপুরের রাজা গুমান সিং-এর অনুমতি নিয়ে এখানকার বাসিন্দা পৃথ্বী সিং বাড়ি তৈরির জন্য খননকাজ শুরু করেন। ওই রাতেই স্বপ্নে দেখা যায়, শিবলিঙ্গ নীচে চাপা পড়ে আছে। এর পরে, পৃথ্বী সিং পুরো ঢিবিটি পুনরায় খনন করেন, আর সেখানে বিশাল শিবলিঙ্গের আবিষ্কার হয়।
এরপর পূজো শুরু করেন পৃথ্বী সিং। তখন থেকে এর নাম পৃথ্বীনাথ মন্দির নামে বিখ্যাত হয়ে ওঠে। মন্দিরে স্থাপিত সাড়ে পাঁচ ফুট উঁচু শিবলিঙ্গ কালো ও বিরল পাথর দিয়ে তৈরি। আন্তরিক চিত্তে এখানে পূজো করলে জলাভিষেক করলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment