আস্ত শস্যদানা: পাইলস রোগীদের খাদ্য তালিকায় সম্পূর্ণ শস্য যেমন ওটস, ব্রাউন রাইস, মাল্টি গ্রেইন ব্রেড ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। গোটা শস্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যার কারণে মল নরম হয়ে যায় এবং মলত্যাগের সময় কোনো অস্বস্তি হয় না।
সবুজপত্রবিশিস্ট শাকসবজি: পাইলস রোগীদের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই সবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ। যার কারণে হজমশক্তি ভালো হয়। পাইলস রোগীদের পালং শাক, বাঁধাকপি, অ্যাসপারাগাস, ফুলকপি, শসা, গাজর, পেঁয়াজ, এন ইত্যাদি খেতে হবে।
কলা: পাইলসের রোগীদের জন্য কলা খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কলা খেলে সজ্জার ফোলাভাব কমে যায় এবং মলত্যাগ করা সহজ হয়। এর পাশাপাশি, পাইলস রোগীদের খাদ্যতালিকায় আপেল, আঙ্গুর, বেরি, চেরি জাতীয় ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই ফলগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
জল: পাইলস হলে প্রচুর জল পান করুন। পাইলস রোগীদের দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করা উচিত। বেশি করে জল পান করলে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থ বের হয়ে যায়। এর পাশাপাশি জল পান করলে মল নরম হয় এবং মলত্যাগের সময় ব্যথা কম হয়।
শসা এবং তরমুজ: পাইলসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে তরমুজ ও শসা খেতে পারেন। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং জল রয়েছে। এর কারণে হজম ভালো হয় এবং মলত্যাগে কোনো সমস্যা হয় না। এর পাশাপাশি শসা ও তরমুজ খেলে শরীরে জলের অভাব হয় না।
No comments:
Post a Comment