মুসলিম ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, বকরিদ উৎসব প্রতি বছর ইসলামি ক্যালেন্ডারের শেষ মাস জু-আল-হিজ্জে পালিত হয়। অনেক সময় একে বকরি ঈদও বলা হয়। ঈদুল আজহা বা বকরিদ উৎসব ত্যাগের বার্তা দেয়। যার অর্থ আল্লাহর দেখানো পথে চলা।
যেহেতু চাঁদ দেখে বকরিদের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ১০ জুলাই পালিত হতে পারে বকরিদ উৎসব। পবিত্র রমজান মাসের প্রায় ৭০ দিন পর পালিত হয় বকরিদ উৎসব।
বকরিদের গল্প :
হজরত ইব্রাহিম আল্লাহর দূত ছিলেন, আল্লাহর প্রতি তাঁর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। একবার হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি তার জীবনের চেয়েও প্রিয় একমাত্র পুত্রকে কোরবানি করছেন।
হজরত ইব্রাহিম এ স্বপ্নকে আল্লাহর বাণী বলে মনে করেন। এই স্বপ্নকে আল্লাহর ইচ্ছা হিসেবে গ্রহণ করে তিনি তার ১০ বছরের ছেলেকে আল্লাহর পথে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেন।
কথিত আছে যে, হজরত ইব্রাহিম তার ছেলেকে কোরবানি দিতে গেলেই, ঠিক সেই মুহূর্তে আল্লাহ তার দূত পাঠান এবং ছেলের বদলে একটি ছাগল দিয়ে বদল করেন। তখন থেকেই ঈদুল আজহা বা বকরিদের দিনে ছাগল কোরবানির প্রচলন শুরু হয়।
বকরিদে ছাগল, ভেড়া ও উট কোরবানি করা যায়। কোরবানির পর এই মাংস তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এর প্রথম অংশ আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ভাগ গরীব-দুঃখীদের জন্য, আর তৃতীয় ভাগ পরিবারের জন্য রাখা হয়।
No comments:
Post a Comment