বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে, কেদারনাথ ধামের জ্যোতির্লিঙ্গ সর্বোচ্চ। এখানে শিবলিঙ্গের আকৃতি ষাঁড়ের পিঠের মতো ত্রিভুজাকার। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, মহাভারতের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এই জ্যোতির্লিঙ্গের প্রাচীন মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। কেদারনাথ ধাম উত্তরাখণ্ডে হিমালয় পর্বতমালার কোলে অবস্থিত। আসুন জেনে নেই কেদারনাথ জ্যোতির্লিঙ্গের রহস্য এবং কীভাবে এখানে মহাদেব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
কেদারনাথ তিন দিক থেকে পাহাড়ে ঘেরা। এখানে পাঁচটি নদীর সঙ্গম ঘটেছে। এই নদীগুলি হল মন্দাকিনী, মধুগঙ্গা, ক্ষীরগঙ্গা, সরস্বতী এবং স্বর্ণগৌরী।
শাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তি কেদারনাথ দর্শন না করে বদ্রীনাথ যাত্রা করেন, তার যাত্রা অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
এখানে অবস্থিত বাবা ভৈরবনাথের মন্দির। প্রতি বছর ভৈরব বাবার পূজোর পরেই মন্দিরের দরজা বন্ধ এবং খোলা হয়। মন্দিরের দরজা বন্ধ হলে ভগবান ভৈরব এই মন্দিরকে রক্ষা করেন।
দ্বাপর যুগে মহাভারত যুদ্ধে জয়লাভের পর পাণ্ডবরা তাদের ভাইদের হত্যার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে শিবের সন্ধানে হিমালয়ে এসেছিলেন পাণ্ডবরা। ভগবান শিব তার উপর ক্রুদ্ধ হয়ে কেদারে যান। তাঁকে অনুসরণ করেন পাণ্ডবরা।
ভগবান শিব যখন এই কথা জানতে পারলেন, তিনি ষাঁড়ের রূপ ধারণ করলেন এবং পশুপালের সাথে যোগ দিলেন।
শিবকে খুঁজে বের করার জন্য ভীম তার বিশাল রূপ ধারণ করে দু পাহাড়ে পা ছড়িয়ে দেন। তাকে দেখে অন্য প্রাণীরা পালিয়ে যায়। কিন্তু ভীম ভোলানাথকে ধরে ফেললে, ভগবান শিব পাণ্ডবদের ভক্তি ও প্রচেষ্টা দেখে খুশি হন এবং তাদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেন। সেই থেকে, কেদারনাথ ধামে মহাদেবের ষাঁড়ের পিঠের মতো দেহের আকারে পূজো করা হয়।
No comments:
Post a Comment